• ঢাকা
  • সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস টমটম চালক রুবেল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন, একমাত্র মাস্টার মাইন্ড হাদিসু


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩৫ পিএম;
চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস টমটম চালক রুবেল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন, একমাত্র মাস্টার মাইন্ড হাদিসু
চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস টমটম চালক রুবেল মার্ডার মামলার রহস্য উদঘাটন, একমাত্র মাস্টার মাইন্ড হাদিসু

 .

গত ০৪/০৪/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৮.০০ ঘটিকা হইতে ২০.০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিগণ পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টমটম চালক রুবেলকে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায় মর্মে সংবাদ পাই। সংবাদ পাওয়া মাত্রই  কক্সবাজার জেলার মান্যবর পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল জনাব রাসেল পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি, টেকনাফ মডেল থানার নেতৃত্বে টমটম চালক রুবেল হত্যাকান্ডের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম দীর্ঘ ৩০ দিন কার্যকরী অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডটির মূল রহস্য উদঘাটন সহ চাঞ্চল্যকর টমটম চালক রুবেল হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান মাস্টার মাইন্ড হাদিসুর রহমান সাগর (২২)কে  গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। .

 .

 .

 .

ঘটনার মূল রহস্যঃ.

অভিযান পরিচালনাকালে জানা যায়,ঘটনার দিন টমটম চালক রুবেলকে শাপলা চত্ত্বর থেকে মূল আসামি হাদিসুর রহমান সোহাগ নেশা করার জন্য মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে মিঠাপানির ছড়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে উভয়েই মাদক দ্রব্য (গাজা) সেবন করে। রুবেল অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত হলে তার সাথে থাকা হাদিসুর রহমান সাগর ছুরিকাঘাতে টমটম চালক রুবেলকে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে যায়। .

 .

 .

 .

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাতঃ.

মামলাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর স্পর্শকাতর। ভিকটিম টমটম চালক রুবেল এবং মূল আসামি হাদিসুর রহমান সাগর  পরস্পর বন্ধু। ঘটনার দিন ইফতারের পর দুই বন্ধু মাদকদ্রব্য ( গাজা) সেবন করার জন্য মেরিন ড্রাইভে যায়। মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প এর সামনে টমটমটি দাঁড় করিয়ে সমুদ্রের বিচে নামে। সেখানে উভয়ে মাদকদ্রব্য ( গাঁজা) সেবন করে। তারা সেখানে প্রায়ই ৩০ মিনিট ছিল। পরবর্তীতে তারা পেট্রোল পাম্প এর সামনে এসে মূল আসামি হাদিসুর রহমান সাগর টমটম এর ড্রাইভিং সিটে বসে এবং ভিকটিম রুবেল ড্রাইভার এর পাশের সিটে বসে। তারা মিঠা পানির ছড়ার দিকে যায়। ভিকটিম রুবেল অটো চালাতে চাইলে আসামি তাকে বাধা দেয় এবং বলে "তুই বেশি নেশাগ্রস্থ, আমি টমটম চালাই" এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে ধস্থাধস্থি হয়। ধস্তাধস্তির সময় ভিকটিম রুবেলের নিকট থাকা গাঁজা কাটার ছোরাটি হাদিসুর রহমান সাগর নিয়ে নেয় এবং রুবেলের গলায় ঢুকিয়ে দিয়ে অটো থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। অটো এবং ভিকটিম রুবেল অটো সহ রাস্তার খাদে পড়ে যায়।এরপর ভিকটিম রুবেল গলা থেকে চুরিটি বের করে হাদিসুর রহমান সাগরকে মারতে যায়। হাদিসুর রহমান সাগর ছোরাটি কেড়ে নিয়ে ভিকটিম রুবেল এর মাথার পিছনে আঘাত করে। রুবেল মাটিতে পড়ে গেলে হাদিসুর রহমান সাগর পালিয়ে যায়।মামলাটি তদন্তকালে উল্লেখিত আসামী জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে তার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।.

 .

 .

 .

 .

উপরোল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে এবং তৎপরবর্তীতেঃ.

 .

অতঃপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি, এসআই (নি:) সামিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আসামির ফেলে যাওয়া তার ব্যবহৃত পায়ের সেন্ডেল সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করেন। উল্লেখিত সেন্ডল স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মূল আসামিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন পিএমখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়।  .

টমটম চালক রুবেল হত্যাকান্ডঃ.

গ্রেফতারকৃতকে রুবেল মার্ডার মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে,ঘটনার দিন ০৪/০৪/২০২৪ ইং তারিখ   ইফতারের পর দুই বন্ধু মাদকদ্রব্য ( গাঁজা) সেবন করার জন্য মেরিন ড্রাইভে যায়। মেরিন ড্রাইভে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প এর সামনে টমটম দাঁড় করিয়ে সমুদ্রের বিচে নামে। সেখানে উভয়ে মাদকদ্রব্য (গাঁজা) সেবন করে। তারা সেখানে প্রায়ই ৩০ মিনিট ছিল। পরবর্তীতে তারা পেট্রোল পাম্প এর সামনে এসে মূল আসামি হাদিসুর রহমান সাগর অটোর ড্রাইভিং বসে এবং ভিকটিম রুবেল ড্রাইভার এর পাশের সিটে বসে। তারা মিঠা পানির ছড়ার দিকে যায়। ভিকটিম রুবেল অটো চালাতে চাইলে আসামি তাকে বাধা দেয় এবং বলে "তুই বেশি নেশাগ্রস্থ, আমি অটো চালাই" এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে ধস্থাধস্থি হয়। ধস্তাধস্তির সময় ভিকটিম রুবেলের নিকট থাকা গাজা কাটার চুরিটি হাদিসুর রহমান সাগর নিয়ে নেয় এবং রুবেলের গলায় ঢুকিয়ে দিয়ে অটো থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। অটো এবং ভিকটিম রুবেল অটো সহ রাস্তার খাদে পড়ে যায়।এরপর ভিকটিম রুবেল গলা থেকে চুরিটি বের করে হাদিসুর রহমান সাগরকে মারতে যায়। হাদিসুর রহমান সাগর চুরিটি কেড়ে নিয়ে ভিকটিম রুবেল এর মাথার পিছনে আঘাত করে। রুবেল মাটিতে পড়ে গেলে হাদিসুর রহমান সাগর পালিয়ে যায়। মামলাটি তদন্তকালে উল্লেখিত আসামী জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে তার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে সকল আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।.

 . .

ডে-নাইট-নিউজ / প্রেস রিলিজ

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ