প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত টিআর কর্মসূচির আওতায় মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য,জাতীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এমপির পক্ষ থেকে ৬৩ লক্ষ টাকার মসজিদ ভিত্তিক চেক বিতরণ করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলার ১৩০টি মসজিদের জন্য প্রতি মসজিদে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৬৩ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহমুদুর রহমান খন্দকার-এর সভাপতিত্বে,এমপির প্রতিনিধি আব্দুল নাহিদ চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,' মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মসজিদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের এমপির নেতৃত্বে কুলাউড়ার জনগণ মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। তিনি উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সবাইকে সহযোগিতার আহবান জানান '। এছাড়া কুলাউড়া থানার ওসি মো: আব্দুস ছালেক, আইনজীবী অ্যাডভোকেট এটিএম মান্নান,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন;- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী,কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী,সম্পাদক মো. খালেদ পারভেজ বখশ, কুলাউড়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক একেএম শাহজালাল,উপজেলা কৃষকলীগের সম্পাদক ফুয়াদ আলম চৌধুরী,সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এমপির বিশেষ সহকারী জামিল আহমদ মোহন,এমপির সমন্বয়ক খায়রুল আলম কয়ছর,অফিস সহকারী শেখ রুহেল,এমপির অন্যতম প্রতিনিধি মতাহির আলম চৌধুরী,হোসেন মনসুর, শফিকুল ইসলাম জাহেদ,মো. ছয়ফুর রহমান ছয়ফুল,আহবাব হোসেন রাসেল প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি সফি আহমদ সলমানসহ অন্যান্য অতিথিরা ১৩০টি মসজিদ কমিটির সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে বরাদ্দকৃত টাকার চেক বিতরণ সম্পন্ন করেন।
উল্লেখ্য যে,এর আগে ‘আমার গ্রাম,আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কুলাউড়ার সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে এলাকার উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত শতকোটি টাকা ইতিমধ্যে জনস্বার্থে এমপি সুলতান মনসুর কুলাউড়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পাকাকরণ ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ প্রদান করেছেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১১৮টি রাস্তা পাকাকরণ,১১টি ব্রিজ নির্মাণ ও ৪৭টি কালভার্ট নির্মাণ।
সাবেক ডাকসুর ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও বর্তমান প্রবীণ এমপি দৈনিক পর্যবেক্ষণ'কে বলেন,'সময় ও নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করেনা। আমার বয়স হয়েছে,শরীর স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে আমি দূর্বল হয়ে পড়েছি। তবে বসে থাকিনি ও থাকবোনা। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের নাগরিকরা মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন,তাদের সেবা করার জন্য,কুলাউড়ার সার্বিক উন্নয়নের জন্য। তাই যতক্ষণ প্রাণ আছে আমি আমার কুলাুড়ার জনগণের জন্য কাজ করে যাবো'।
তিনি আরও বলেন,'রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ১৯৬৮ সালে পূর্ব পাকিস্থান ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত হওয়া ও পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে আন্দোলন সংগ্রামে নিজ অবস্থানে থেকে যেমন সামনের কাতারে সোচ্চার ছিলাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারও করেছি। তেমনি অগ্রন্মূখ আপন প্রজন্মকে বরাবরই নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি বলিষ্ঠভাবে। এই ডিজিটাল যুগে তরুণদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি আদর্শে গড়ে তোলা ও সঠিক পথ প্রদর্শন করাও আমার দায়িত্ব। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের বেশিরভাগই সোশ্যাল মিডিয়ায় সবসময় মত্ত হয়ে থাকে,ফেসবুক, ইউটিউবে যখন যা দেখে তাই বিশ্বাস করে ফেলে,ঐ দিক থেকে আমি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।কারণ এই তরুণ প্রজন্মই আগামীতে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করবে। আশাকরি তারা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর না করে বাস্তব জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শের শিক্ষা নিয়ে দূরন্ত গতিতে এগিয়ে যাবে'।.
ডে-নাইট-নিউজ / বিশেষ প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: