বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে 'সেন্টার অফ এক্সিলেন্স' হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়( চুয়েট) দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের প্রকৌশল বিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৮ সাল থেকে নিরবে ও নিভৃতে দেশের এককোণে থেকে প্রকৌশলী তৈরি করে দেশের প্রকৌশলীর চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিদেশেও সুনামের সাথে কাজ করছে চুয়েটের প্রকৌশলীরা। টেক জায়ান্ট গুগল,মাইক্রোসফট, ইনটেল ও টেসলার মতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোম্পানিগুলোতে আজ চুয়েটের ইন্জিনিয়ারদের আধিপত্য বাড়ছে৷ .
১৯৬৮ সালে 'চট্টগ্রাম ইন্জিনিয়ারিং কলেজ' হিসেবে যাত্রা শুরু করার সময় মাত্র তিনটি বিভাগ ও ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি৷ পরবর্তীতে,একই বছরের ১ জুলাই 'বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম' হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। অবশেষে প্রায় ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসানের পর ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা চুয়েট আজ তার আপন মহীমায় অনন্য। .
বর্তমানে মোট ১৮ টি বিভাগে প্রায় চার হাজার ৫০০ জন ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। এছাড়া ২৭০ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা ও ৩২০ জন কর্মচারীসহ মোট ৭৫০ জনের এই পরিবার, নিজেদের সবটুকু দিয়ে প্রতিদিনই চুয়েটকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। .
দেশের রোবট শিল্পবিকাশের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র চুয়েটে রয়েছে 'রোবো মেকাট্রনিকস এসোসিয়েশন'। এছাড়া প্রকৌশলীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের কুটনৈতিক তৈরিতে চুয়েটে আছে 'চুয়েট মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস ক্লাব' যা বহির্বিশ্ব বিষয়ক নানা ঘটনা পর্যালোচনা করে ও আন্তর্জাতিক নানা কনফারেন্সে ক্লাবটির সদস্যরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া পরিবেশের মানোন্নয়নে সর্বদা তৎপর চুয়েটের 'গ্রীন ফর পিস'।এছাড়াও আরো নানা ক্লাবের মাধ্যমে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক শিক্ষা ছাড়াও আরো হাজারো বিষয়ে জানতে পারছে ও সমস্যা সমাধানে নিত্য কাজ করে যাচ্ছে। .
চুয়েটে সদ্য নির্মিতব্য 'শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর' তথ্য প্রযুক্তি খাতে উদ্যেক্তা নির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের সুদক্ষ করে তোলা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করবে। এরকম হাজারো উদ্যেগে ও আবিষ্কারে দেশের মর্যাদা এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে চুয়েট,সেই আশা দেশের প্রতিটি নাগরিকের। সেই আশা পূর্ণ হোক শীঘ্রই সেই কামনায় শেষ করছি৷ .
ডে-নাইট-নিউজ / আসিফ আলম চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন: