সৌদি আরবে ৭ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আছমা বেগম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের লোকজন। এদিকে আছমা বেগমের মুক্তিতে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন সোহেল আহমদ নামে এক দালাল।.
এ ঘটনায় আছমা বেগমের মা মৈরম চান বাদী হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে স্ত্রী আছমার বেগমকে দেশে ফেরত আনার জন্য তার স্বামী আব্দুল হানিফ চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিকের বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।.
জানা যায়, উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের ৪ সন্তানের জননী আছমা বেগমকে উচ্চ বেতনে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সৌদি আরব পাঠায় একই গ্রামের আ. রউপের ছেলে সোহেল আহমেদ। এরপর আছমা বেগমকে সৌদি আরব পাঠানোর পর তার খোঁজ মেলেনি। আছমার বড় ছেলে প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ের বয়স ৪ বছর। .
দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাকে কাছে না পেয়ে তার ৪ সন্তান মায়ের জন্য দিনরাত কান্নাকাটি করছে। আছমার স্বামী আ. হানিফ ও গ্রামের মুরুব্বিরা জানান, ৭ মাস ধরে দালাল সোহেলের কাজে ধর্না দিলেও সে ২ লাখ টাকা ছাড়া আছমাকে দেশে ফেরত আনবে না বলে জানিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নিজের মেয়েকে ফেরত না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন আছমার মা মৈরম চাঁন।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ:-
আপনার মতামত লিখুন: