টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নিখোঁজ অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা আক্তারের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার সহবতপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের ৬ দিন পর ঝুলন্ত অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।.
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ফাতেমার বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী আলীম ফাতেমাকে তালাক দেয়। পরে সংসারের অভাবের তারনায় ফাতেমা সৌদি পাড়ি দেন। ৫ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে আসেন। পরে ফাতেমা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মো. আরশেদ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া সাথে প্রথমে প্রেম, পরে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পর রুবেলের ছোট ভাই শামিমের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ফাতেমা। পরে রুবেলকে তালাক দিয়ে ছোট ভাই শামিমকে বিয়ে করে ৭ মাস ধরে ঘর সংসার করে আসছিল। এরই মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ফাতেমা। গত ২৭ অক্টোবর স্বামীসহ ফাতেমা তার বাবার বাড়ি সহবতপুর আসেন। পরের দিন সকালে স্বামী শামিম ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী ফাতেমাকে আর খোঁজে পান না। ফাতেমার বাড়ির লোকজন স্বামী শামীমকে চাপ সৃষ্টি করলে শামীম পালিয়ে ঢাকা চলে যায়।নিখোঁজের ৬ দিন পর বাড়ির পাশ থেকে মাটি আনতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে ফাতেমার ঝুলান্ত লাশ দেখতে পান চাচাতো ভাবি পারুল।.
নাগরপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ হাসান সরকার বলেন, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্ত জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: