দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে কুরবানীর পশু হাট। হাটগুলোতে দেশি গরুতে ভরপুর হলেও, গরুর দাম বেশি ও ক্রেতা কম থাকায় আশানুরুপ বেচা-কেনা না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশিদামে গরুর বিক্রি করতে হচ্ছে, কিন্তু হাটে ক্রেতা কম থাকায় আশানুরুপ বেচা-কেনা হচ্ছেনা। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। অপরদিকে ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যেই কম দামে পছন্দের গরু খুজছেন। গত রবিবনর বিকেলে পৌর শহরের সরকারী কলেজ শহীদ মাঠে পৌরসভা পরিচালিত পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশি গরুর সমারহে ভরে উঠেছে কুরবানীর পশু হাট। কিন্তু তুলনামূলক ক্রেতা কম থাকায় আশানুরুপ বেচা-কেনা হচ্ছেনা।.
গরু বিক্রি করতে আসা আফছার আলী, করিম মন্ডলসহ কয়েকজন খামারী বলেন বর্তমানে গোখাদ্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের পশু পালনে ব্যাপকহারে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, এ কারণে তাদেরকে বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার সময় মতো গরু বিক্রি করতে না পারলে তাদেরকে (খামারীদের) লোকশানে পড়তে হবে। গরুর ফড়িয়া ব্যবসায়ী সাহাবুর আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম দেড় থেকে দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কারণে গরুর বেচা-কেনা গত বছরের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তবে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা রয়েছে।.
কুরবানীর পশু কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশি, ঈদে অনেক খরচ, এখন বাংলা আষাঢ় মাস আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে আমন ধান রোপণ। আমন রোপণের টাকা ঘরে রেখে, কৃষকদের গরু কিনতে হবে, এই কারণে কৃষকরা বড় দামী গরু কিনতে আগ্রহী হচ্ছেনা।এদিকে গরুর দাম অনেক বেশি যার ফলে অনেকে গরু না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। এতে হাটে অনেক গরু অবিক্রিত রয়ে যাচ্ছে। হাট ইজারাদার আবুল হাছান ও মানিক মন্ডল বলেন হাটে বেচা-কেনা কম হওয়ায় রাজস্ব আয়ও অনেক কমেছে।.
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, এই উপজেলায় দুই হাজার ৩২৫ টি গরুর খামার রয়েছে। এরমধ্যে ২৩টি খামার নিবন্ধিত, এই খামারে ১৯ হাজার ৮২৩টি গরু কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই গরুগুলো উপজেলার চাহিদা পুরণ করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীরা পশুর হাট থেকে কিনে নিয়ে যায়।.
এদিকে সরকারী ভাবে ফুলবাড়ী পৌরসভা ও আমডুঙ্গির হাট পশুর হাট হিসেবে ইজারা দেয়া হলেও, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে উপজেলার ৭টি স্থানে পশুর হাট শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে পশুর হাটগুলো নতুন করে ইজারা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
.
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: