হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরী গঞ্জ উপজেলার বাজার গুলোতে অবাঁধে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি, হাওর গুলো রয়েছে পাখি শিকারীদের দখলে। .
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং এবং হাওর অঞ্চলের রাজধানী খ্যাত আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওর গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসলী জমির মাঠ রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমানে জলাশয় থাকায় দিনের বেলায়ও পাখিদের বিচরন চোখে পড়ার মতো। .
আজমিরীগঞ্জের শিব পাশা এবং বানিয়াচঙ্গের হাওর গুলোতে পাখি শিকার করার জাল এবং সূতার তৈরি ফাঁদ বাঁশের খুঁটির মধ্যে সাটিয়ে রাখতেও দেখা গিয়েছে। বিকাল হলেই হাওর গুলোতে শুরু হয় পাখি শিকারীদের আনাগোনা, ভোর হলে রাস্থার মোড় গুলোতে শুরু হয় হরেক রকমের পাখি ক্রয়-বিক্রয়।.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসকল এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান- এসকল পাখি শিকারীদের কারণে আমাদের জমিতে ফলানো পাকা ধান ঝড়ে পরছে, রাতের আঁধারে জমির উপরে জাল ফেলে রাখে পাখি শিকারীগন, ভোর হলেই পাখি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে পাখি ক্রেতারা।.
পূর্বে থেকেই পাখি শিকারীদের সাথে যোগাযোগ থাকে এসকল খুচরা এবং পাইকারী ক্রেতাদের। এছাড়াও বানিয়াচং বড় বাজার, নতুন বাজার, আদর্শ বাজার, আজমিরী গঞ্জের শিবপাশা সবুজ গঞ্জ বাজার, জলসূখা বাজার সহ হাওর অঞ্চলের বাজার গুলোতে পাখি ক্রেতা / বিক্রেতাদের ভীড় চোখে পড়ার মতো, চার দিকের বিস্তির্ণ হাওর, এবং খাল বিল, নালা গুলোতে দিনের বেলায় বিভিন্ন রকম জাল, সূতা দিয়ে তৈরি ফাঁদ পাতিয়ে রাখার কারণে পাখিরা এখন আর আগের মতো মুক্ত ভাবে চলা ফেরা করতে পারেনা। .
বিষয়টি বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহকে অবগত করা হলে তিনি জানান বিষয়টি দুঃখ জনক, দুর্গম হাওর এলাকায় পাখি শিকার করার কারণে চতুর শিকারীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছেনা, সকল এলাকার জন প্রতিনিধিগনের মাধ্যমে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। . .
ডে-নাইট-নিউজ / রিতেষ কুমার বৈষ্ণব-
আপনার মতামত লিখুন: