• ঢাকা
  • রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ফুলবাড়ীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজে বাধাদানসহ হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৪৪ পিএম;
ফুলবাড়ীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজে বাধাদানসহ হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফুলবাড়ীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজে বাধাদানসহ হুমকির প্রতিবাদে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ
.


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল এ- বিএম ইনস্টিটিউটের খতিয়ান ভূক্তি জমি রক্ষাসহ সরকারি বরাদ্দের ভবন নির্মাণ কাজে বাধাদানকারিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীরা।.

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল এ- বিএম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ইনস্টিটিউট চত্বরে সকালে সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। .

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব ছালাহ্উদ্দিন, প্রভাষক বিপ্লব কুমার দাস, প্রভাষক  মাহামুদুল হাসান, প্রভাষক সোহরাব হোসেন, প্রভাষক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
 
অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব ছালাহ্উদ্দিন বলেন, ২০০১ সালে ফুলবাড়ী পৌরশহরের পশ্চিম গৌরীপাড়া মৌজার ২৪৯ নং দাগের ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে দাগের পূর্বাংশের ৩৫ শতাংশ জমিতে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল এ- বিএম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠেছে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়। প্রতিষ্ঠানের নামে জমি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তায় ২০০৯ সালে জমির অংশিদার মোজাফ্ফর হোসেন ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে ৩৫ শতাংশ জমি প্রতিষ্ঠানের নামে দানপত্র দলিল মূলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। যার দলিল নম্বও ১৬১০৬, তারিখ ১১/০৫/২০০৯। এরপর ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এনপিও ভুক্ত হয়। ওই জমিটি কলেজের নামে খারিজ ও খতিয়ান ভুক্ত হয়ে নিজস্ব জমিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় একহাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়ণ এবং ৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারি কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। .

২০২১-২২ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে চার তলা ভবনের শ্রেণি কক্ষ নির্মাণের অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জমির দিক নির্ণয় নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। যা ইতোমধ্যেই সমঝোতাও হয়েছে। এরপরেও প্রতিপক্ষরা সমঝোতা না মেনে প্রতিষ্ঠানের জায়গাকে নিজেদের দাবি করে ভবন নির্মাণ কাজে বাঁধাসহ হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্মাণ কাজে বাধাদানকারি ষড়যন্ত্রকারীদের শাাস্তি দাবি জানান তিনি। .

এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ বলেন, তার পিতা মরহুম দারাজ উদ্দিন মন্ডল তার দুইছেলে মোজাফ্ফর হোসেন ও মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজের নামে ওই জমিটি সমান ভাবে দিক নির্ণয় করে বন্টন করে দেন। পরবর্তীতে মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহউদ্দিন বন্টকনামাকে উপেক্ষা করে নিজ খেয়াল খুশি মতো পেশীশক্তির জোরে প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ করছে। এ বিষয়ে আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরও নর অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহউদ্দিন তা মানছেন না। উপরোন্ত মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। 
 . .

ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ