হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ও চৌমুহনী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে) স্থানীয় পাখি প্রেমিক সোসাইটির সদস্যদের তথ্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দিন ব্যাপী হবিগঞ্জের বন্য প্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্ত্বে ও র্যাব-৯ এর অংশগ্রহনে বন্য পাখি উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়েছে।.
অভিযানে র্যাব-৯, হবিগঞ্জের বন্য প্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,ওই অভিযানে ১টি ডাহুক ,১টি কুরা ,১ টি সরালি ,৪ টি ঘুঘু সহ বিপুল সংখ্যক পাখির ফাঁদ,খাচা,লাসাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয়েছে। তবে বন্য প্রাণী আইনে কোন কোন মামলা দায়ের হয়নি। এর আগে একটি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়। .
রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান,অভিযানে বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে আমরা অভিযান পরিচালনা করি, যারা এই পাখিগুলো শিকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণি আইনে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যৌথ অভিযানে অসংখ্য ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। কিছু পাখিও উদ্ধার করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিরীহ বন্যপ্রাণীকে হত্যা না করতে তাদেরকে জানানোর জন্য আহবান জানান তিনি। .
পাখি প্রেমিক সোসাইটির সভাপতি মুজাহিদ মসি বলেন, পাখি পরিবেশে বন্ধু এদের নিধন একটি অমানবিক ও অবৈজ্ঞানিক কাজ। এদের রক্ষায় আমাদের সকল স্থরের জনগন ও প্রশাসনকে এগিয়া আসার আহবান জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর থানার এস আই শুভ ও সঙ্গী ফোর্স ও সাংবাদিক হৃদয় শাহ আলম, হবিগঞ্জ বন বিভাগের জিয়াউল হক রাজু পিএম, মোঃ রানা মিয়া পিএম, টিপুলসহ আরো অনেকেই। আর চৌমুহনী ইউপির কমলপুর গ্রামে পটাশ বিষটোপ দিয়ে যে শিকারী চক্রের অভিযুক্ত সদস্য কিসমত,রানা ও শান্ত মিয়া যা পত্রিকার খবরেও এসেছে তারা আমাদের কাছে আত্বসমর্পন করেছে আজকের অভিযানে। তারা প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, মাধবপুর থেকে ফিরে ॥
আপনার মতামত লিখুন: