রাস্তায় খোলা ম্যানহোলে অসাবধান হলেই মরণফাঁদ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা রাখা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি করছে ঠিকাদার এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার কর্তৃপক্ষ।.
এই সময় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ দেওয়াল ঘেঁষে ম্যানহোলে পড়ে হাত পা ছিড়েখুঁড়ে যায় স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন কেন ঢাকনা খোলা ছিল ম্যানহোলের। আর হবিগঞ্জ পৌরসভার আধিকারিকরা বলছেন ঠিকাদার ও পৌর কর্তৃপক্ষর খামখেয়ালির কারণে ম্যানহোলের ঢাকনা আদৌ লাগানো হচ্ছে না। আর তার জেরেই দুর্ঘটনার কবলিত সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষ। হবিগঞ্জ পৌরসভার ভিতর প্রায় রাস্তায় ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা ও দুর্গন্ধ চড়িয়ে স্বাস্থ্যর ঝুঁকি বাড়ছে।একদিকে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও দেখার কেউ নেই। স্থানীয়দের মাঝে নানান বাকবিতন্ডায় লিপ্ত থাকলেও নির্দিষ্ঠ অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না। বিষয় টি নিয়ে পৌরসভার মেয়রের দৃষ্টিগোচর হলেও থেমে রয়েছে পৌরউন্নয়ন ম্যানহোলের কাজ।.
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, প্রশাসন ‘অফিসারদের বলেছি, যেখানে-যেখানে ম্যানহোলে ঢাকনা নেই, তা তাড়াতাড়ি লাগাতে হবে। ম্যানহোলের পাশে যেখানে আলো নেই, সেখানে আলোও লাগাতে হবে অবিলম্বে। এর বাইরেও নিয়মিত নজরদারি রাখতে হবে ম্যানহোলগুলিতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এ বিষয়ে নজরদারি চালানোর কথা বলে মনে করেন পৌর প্রশাসন । শহরের অনেক প্রান্ত থেকে প্রায়ই ম্যানহোলের ঢাকনা লোপাটের অভিযোগ আসে বলে পৌরকর্তাদের দাবি।.
আশপাশের কেউ কেউই ঢাকনা নিয়ে চলে যান বলেও অভিযোগ।এ ক্ষেত্রে মাদকাসক্তদেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকের অনুমান। শহরে টাকা ইনকামের নেশায় ব্যস্ত থাকা অজ্ঞাত কিশোর গ্যাং এইসব কাজ করে বলে দাবী করলেন পৌরপ্রশাসন। শহরে ম্যানহোল সাফাইয়ের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে ঠিকাদারি সংস্থাকে।.
শহরের প্রতিটি রাস্তা মেরামত, পানি নিস্কাষণ অব্যবস্থাপূর্ণ থাকাটা অবশ্য পৌরসভাকেই কাঠগড়ায় লেছেন পৌর জনগন। তাদের বক্তব্য ম্যানহোল খোলা থাকলে সেটা দেখার দায়িত্ব কার? এটাই তো জনপ্রতিনিধির কাজ। এলাকাবাসীর যদিও দাবি এলাকায় যে সব ম্যানহোল খোলা রয়েছে সেগুলি আমরাই পাটাতন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি একাধিক বার। তা ছাড়া বস্তিতে শৌচাগার আছে। ফলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। দোষ ঢাকতেই এ সব মিথ্যে প্রচার হচ্ছে।’.
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ:-
আপনার মতামত লিখুন: