লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থী সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত সংবাদ সম্মেলন করতে এসে ফেঁসে গেলেন মো. বাবুল পাটোয়ারী (৫৩) নামে এক ব্যক্তি। তিনি লক্ষ্মীপুর-টু-ফেনী যমুনা পরিবহন নামে একটি বাসের মালিক। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগী বাস-মালিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বাস-মালিক বাবুল। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মধ্য বাঞ্ছানগর বজু পাটোয়ারী বাড়ির মৃত মোহাম্মদ উল্লাহ্ বজুর ছেলে।.
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২৫ ডিসেম্বর আক্তার আকবর পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তার মোবাইলে কল করে ৩টি বাস ভাড়া করে ২৬ তারিখ স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলামের নির্বাচনী জনসভার জন্য বরাদ্দ করা হয়। গাড়ি ৩টি লক্ষ্মীপুর কলেজ রোড়, পালের হাট, কাফিলা তলি এলাকা থেকে লোকজন গাড়িতে তুলে রায়পুর নিয়ে নামিয়ে দিয়ে আসে। পরবর্তীতে রায়পুর হতে পুর্নরায় গন্তব্যস্থলে নামিয়ে দেয়। কিন্তু ৩ টি বাসের ভাড়া (টাকা) আক্তার আকবর পরিশোধ করেননি। ৩টি বাস ৬ হাজার টাকা করে ১৮ হাজার টাকা যুক্তি করা হয়।
পরে আমি (বাবুল) স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন সমন্বয়কারী শেখ শিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমার বাস-ভাড়া (টাকা) জন্য। তখন শেখ শিপন বলে যাদের আমি দায়িত্ব দিয়েছি তারা ভাড়া পরিশোধ করছে। উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হলে বাস-মালিক বাবুল পাটোয়ারী এলোমেলো উত্তর দেয়। এতে সাংবাদিকদরা পরিষ্কার হয়ে যান এ সংবাদ সম্মেলন সম্পন্ন বিতর্কিত।
তখন যমুনা টেলিভিশনের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আনিস কবির ও আমাদের অনৈতিক পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম উচ্চস্বরে বলেন, এমন ভুয়া তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়ার জন্য এ ব্যক্তিকে পুলিশে দেওয়া উচিত।.
.
সময় টেলিভিশনের লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার মাজহারুল আনোয়ার টিপু বাস-মালিক পরিচয় ব্যক্তির কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন, আপনি (বাবুল) কি সংশ্লিষ্ট থানায় কি অভিযোগ করছেন? অথবা বাস-মালিক সমিতির কাছে অভিযোগ করছেন? তখন বাস-মালিক পরিচয়দানকারী বাবুল চুপচাপ বসে ছিলেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ২৬ তারিখ মঙ্গলবার স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলামের পক্ষ থেকে কোন বাস-ভাড়া নেওয়া হয়নি রায়পুরে। এর-আগে মঙ্গলবার বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তখন জানিয়েছেন দ্বাদশ নির্বাচনের দিন যারা তার নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, তাদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার হুমকি দিচ্ছে একটি গোষ্ঠী। প্রতিনিয়ত তাদের হুমকিধামকি দিয়ে আসছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
তিনি তার (ঈগল) প্রতীকের কর্মীদের বলে দিয়েছেন, আপনারা মনে সাহস নিয়ে কাজ করেন। যদি কেউ আপনাদের বাড়ি-ঘরে হামলা করে (আমি) সেলিনা ইসলাম আপনাদের নতুন ঘর করে দিব। যদি কেউ আমাকে অসম্মান করে, তাহলে তারা আমাদের নেত্রীর সিদ্ধান্তকে অসম্মান করবে। কারণ আমি নেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন করছি। আমি কাউকে অপমান করতে চায় না। এখানের জনগণ তাদের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমরা যারা নির্বাচন করব, একজন অন্যজনকে সম্মান দেখিয়ে কথা বলবো।.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: