ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে গোপনে নিয়োগ বানিজ্য করার অভিযোগ তুলেছে তার পরিষদের ৭জন কাউন্সিলর। স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবের বরাবর এই অভিযোগ করা হয়। .
এছাড়া অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে সাক্ষর করেছেন ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিখিল কুমার হালদার, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু আসাদ রুনু, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসেম আলী, ৭, ৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শারমীন আক্তার সম্পা ও ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছায়েরা খাতুন। লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, হরিণাকুন্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন অর্ধ কোটি টাকার অর্থ বানিজ্য করার জন্য তার নিকটতম আত্মীয় স্বজনদের গোপনে চাকরী দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। .
পৌরসভার নিয়োগ বিধি ভঙ্গ ও পৌর সংস্থাপন কমিটির অনুমোদন ছাড়াই হিসাব রক্ষক পদে মেজবাহ উদ্দীন মিঠুন, নি¤œমান সহকারী পদে হাসানুজ্জামান, সহকারী কর আদায়কারী পদে জামিরুল ইসলাম ও টিকাদারকারী হিসাবে বুলবুলকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ বলা হয়, হরিণাকুন্ডু পৌরসভা বিএমডিএফ এ ৩০ লাখ টাকার দেনা আছে। .
এই নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন হলে হরিণাকুন্ডু পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগকারী কাউন্সিলররা জানান, মেয়র ফারুক হোসেন কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ কারণে বেশির ভাগ কাউন্সিলর পৌরসভার মিটিংয়ে যান না। অথচ মিটিংয়ে কোরাম সংকট থাকার পরও বিধি ভঙ্গ করে একের পর এক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন। .
২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন অভিযোগ করেন, পৌরসভার সরকারী ট্রাকটি তার নিজের ইটভাটায় দেওয়া হয়েছে। ট্রাক ভাড়ার টাকা জমা হচ্ছে কিনা জানতে গেলে দুর্ব্যবহার করেন মেয়র। জন্ম-মৃত্যু সনদ নিতে ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা গ্রহন করা হয়। .
পৌর এলাকায় তার পচ্ছন্দের ঠিকাদারের মাধ্যমে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করাচ্ছেন বলেও নাসির উদ্দীনসহ অভিযোগকারী কাউন্সিলররা উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন বুধবার জানান, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগেই অভিযোগকারীরা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছিল। .
তারা হরিণাকুন্ডুতে আওয়ামী লীগের অন্য গ্রুপ করেন। এ কারণে পৌরসভার ভালো তারা চান না। পরিষদের মিটিংয়ে তারা যোগদান না করে বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, নিয়োগ বানিজ্য করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। যাদের নাম অভিযোগকারীরা দিয়েছেন তারা আমার কেউ না। .
মেয়র ফারুক বলেন, আমি দুই কোটি টাকার দেনা নিয়ে পৌরসভার দায়িত্ব নিয়ে সব দেনা শোধ করেছি। বিএমডিএফ এর দেনা আর অর্ধেক আছে। তিনি বলেন, কাউন্সিলর ও পৌর কর্মচারীরা বেতন পেতেন না এখন নিয়মিত পাচ্ছেন। পৌরসভার ট্রাকটি মেরামত করে ইটভাটায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভাটা মালিক পৌরসভার ফান্ডে ২০ হাজার টাকা মাসে ভাড়া দেন। ট্রাক মেরামত, তেল, মবিল ও ড্রাইভারের বেতন সবই বহন করেন ইটভাটা মালিক।. .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: