মায়ের ইচ্ছাতে ১১ বছর আগে পূজা শুরু করেন ডাক্তার প্রদীপ কর্মকার। পরবর্তীতে সবাইকে নিয়েই পূজা শুরু করেন প্রদীপ কর্মকার ও তার পরিবার এবং নাম দেন ইস্কাটন সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি। কমিটির সভাপতিত্ব করার পাশাপাশি পূজার সব দিক সুন্দরভাবে তদারকিও করেন তিনি। বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়ে যা দর্পণ বিসর্জন এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে।.
ইস্কাটন সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে থাকছে ভিন্নতা। প্রতিদিন থাকছে পূজোর প্রসাদ সহ খাবারের ব্যবস্থা যা সর্বসাধারণ বসে খাবার গ্রহন করতে পারবেন দুপুরে এবং রাতে। মহাসপ্তমী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীর জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্যও থাকবে পুরস্কার। মহা অষ্টমীতে থাকছে মূল আকর্ষণ ক্লোজআপ তারকা পুতুলের গান। মহানবমী তে থাকছে আরতী প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার।.
পূজার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সভাপতি প্রদীপ কর্মকার বলেন, আমরা খুব আনন্দ ও উৎসবমুখর ভাবে এই পূজা উদযাপন করছি এবং যেখানে সর্বসাধারণের সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে এবং আমরা দেখেছি যে এখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেখানে পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছেন এবং কোন প্রকার শঙ্কায় আমরা পড়ি নি বা অনুভব করছি না। আমরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আচার মেনে পুরো অনুষ্ঠানটি শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি এবং এই অনুষ্ঠানে আমি দেশবাসী তথা সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের নিরাপত্তা বিধান করেছেন। আগামীতে আমরা আরো বড় পরিসরে আমাদের এই দুর্গাপূজার একযুগ পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করবে বলে আশা করি।.
ইস্কাটন সর্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কর্মকার বলেন, আমরা সবার সহযোগিতায় ১১ বছর এ আয়োজন করেছি। হিন্দু মুসলমান সবাই আমরা ভাই ভাই, এক সাথে মিলে মিশে থাকার কোনো বিকল্প নাই। আমরা মিলেমিশে আছি আগামীতেও থাকবো। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পুরো অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা করি।.
আগামী বছর একযুগ পূর্তিতে ইস্কাটন সর্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির বিশাল এবং বড় আকারে অনুষ্ঠান করবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কমিটির অন্যরা সবাই।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: