• ঢাকা
  • রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

গ্রাহকের সাথে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ : ক্ষমা চাইলেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩৩ পিএম;
গ্রাহকের সাথে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ : ক্ষমা চাইলেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক
গ্রাহকের সাথে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণ : ক্ষমা চাইলেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক

দুর্ব্যবহার অসদাচরণের ঘটনায় অবশেষে গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের হবিগঞ্জ প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক মাধব চন্দ্র রায়।.

ব্যাংকে হাবিবুর রহমান চৌধুরী নামে এক গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সময় অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজার জেলা শাখার ব্যবস্থাপক কালিপদ্দা দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুর্ব্যবহার, অসদাচরণ হুমকির অভিযোগ এনে গত নভেম্বর উপ-মহা ব্যবস্থাপক মৌলভী বাজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাবিবুর রহমান চৌধুরী নামে এক গ্রাহক। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নভেম্বর কুমিল্লা নাথেরপেটুয়া অগ্রণী ব্যাংক শাখায় লাখ টাকা প্রেরণ করতে যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী নামে এক গ্রাহক সদস্য।.

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিষয়টি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পর্যন্ত গেলে অসদাচরণ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে গ্রাহককে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাধব চন্দ্র রায়।.

ঘটনায় বিচার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন হাবিবুর রহমান চৌধুরী। সুত্র জানায়, ব্যাংকে আসা সাধারণ গ্রাহক সদস্যদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অসদাচরণ করে আসছেন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাধব চন্দ্র রায়।.

তার অসদাচরণের কারনে ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহকদের অনেকেই লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। গ্রাহক হয়রানি ছাড়াও ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে কমিশন, সংশ্লিষ্ঠ আইনজীবিদের মামলা পাইয়ে দেয়ার নামে কমিশন, ভুয়া গ্রাহকদের ঋণ প্রদান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একটি লিখিত অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহে হবিগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন তিনি।.

এর আগে মৌলভী বাজার জেলার মুন্সি বাজার শাখায় একই পদে একই অভিযোগে বিতর্কিত হয়েছিলেন তিনি। মাধব চন্দ্র রায়ের দুর্ব্যবহার অসদাচরণের কারনে একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে যাদের সিসি লোন আছে তাদেরকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতেও বাধা দিচ্ছে, ফলে ব্যাংকে অনেকেই যেতে ভয় পাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কোন কারণ ছাড়াই গত বছরে তিনি প্রায় শতাধিক মামলা দিয়েছেন ঋণ গ্রহিতাদের।.

হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া বাজার এলাকায় তার স্ত্রী রিতা রায়ের নামে রয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা দামের ৫তলা বিলাস বহুল ফ্ল্যাট বাড়ি যার (হোল্ডিং নং-২০৪৪/০১) পুত্র রাজদ্বীপকে কানাডায় পাঠানোর জন্য জমা দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। অন্য পুত্র অন্তর রায়কে ঢাকাস্থ ডেফোডিল ইউনিভারসিটিতে ব্যয় বহুল কোর্স করিয়েছেন মাধব চন্দ্র রায়।. .

ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ॥

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ