আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনেকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দি দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী একে অন্যের বিরুদ্ধে টাকা ছাড়ানো ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার দুপুরে শহরের পবহাটি এলাকায় আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন অর রশীদ তার নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।.
অন্যদিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চশমা প্রতিকের প্রার্থী কনক কান্তি দাসের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরন। তিনি লিখিত অভিযোগে দাবী করেন, প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় সৃজনী এনজিওর পরিচালক।.
তিনি তার কর্মীদের দিয়ে রাতের আঁধারে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন এবং কোরআন ছুয়ে আনারস প্রতিকে ভোট দেবার আঙ্গীকার করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। .
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ লিখিত বক্তেব্যে অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দী চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতিকের কনক কান্তি দাসের সমর্থকরা তার ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এর আগে আমার সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে হামলাও করেছে। নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করছেন। .
এ বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। উল্লেখ্য আগামীকাল আগামী ১৭ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুই জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদস্যপদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।.
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: