বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। .
পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, ডিডিএলজি ইয়ারুল ইসলাম, অ্যাডঃ আজিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দীন ও জি.পি অ্যাড. বিকাশ কুমার ঘোষ বক্তব্য রাখেন। .
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সকলের প্রতি আহবান জানান। ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, ৫ ডিসেম্বর রাতে তৎকালীন কমান্ডার ফকির মাহমুদের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তিবাহিনী সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা পার হয়ে সদর উপজেলার শৈলমারী বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। অপরদিকে জেলার উত্তর এলাকায় শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও গাড়াগঞ্জ এলাকায় অবস্থান তার নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা। .
দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থান নেয় আর এক দল মুক্তিযোদ্ধা। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শৈলমারী বাজার থেকে মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা পাকিস্থানি সেনাদের অবস্থানের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পাকিস্থানি বাহিনী। প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) আগুন ধরিয়ে দিয়ে ক্যাডেট কলেজে অবস্থান নেয় পাকিস্থান সেনারা। .
দুপুরের আগে শৈলমারী বাজার, শৈলকুপা এলাকা ও বিষয়খালী এলাকার পূর্বপাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মার্চ করে শহরের দিকে আসতে শুরু করে। দুপুর ২টার দিকে মুক্তি ও মিত্র বাহিনী একসঙ্গে হামলা শুরু করলে টেবিলে সাজানো দুপুরের খাবার ফেলে মাগুরার দিকে পালিয়ে যায় পাকিস্থান সেনারা। বেলা আড়াইটার দিকে হানাদারমুক্ত হয় ঝিনাইদহ। রাস্তায় নেমে উল্লাস করে হাজার হাজার মানুষ।.
ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: