• ঢাকা
  • শনিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

ডিমলায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন-ইউএনও


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:০৭ এএম;
ডিমলায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন-ইউএনও
ডিমলায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন-ইউএনও

নীলফামারীর ডিমলায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা করে লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।.

উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোট খাতা কাকিনা গ্রামে স্কুল পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে সোমবার (১০-অক্টোবর) দুপুরে আকস্মিকভাবে বিয়ের আয়োজনে গিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন। সেখানে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করেন। একই সঙ্গে মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ারও দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।.

এ নিয়ে গত কয়েক মাসে ডিমলা উপজেলায় বেশ কয়েকটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন ইউএনও বেলায়েত হোসেন।.

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে পরিচালিত ছোট খাতা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্য নুসরাত জাহান ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খালিশা চাপানী ইউনিয়নে স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করেছিল তার পরিবার। আজ দুপুরে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর ছিলেন পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের বসবাসরত পূর্বে একবার বিবাহিত এক যুবকের সাথে। এ খবর পেয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন পুলিশ প্রশাসন নিয়ে দুপুরের দিকে আকস্মিকভাবে মেয়েটির বাড়িতে হাজির হন। প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিবারের লোকজন সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। পরে ইউএনও কন্যা পক্ষকে ডেকে বাল্যবিবাহের কুফল বিষয়ে বোঝান। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না-এমন শর্তে মুচলেকা আদায় করেন।.

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কিন্তু অর্থাভাবে লেখাপড়া চালাতে অপারগতা শিকার করেছেন তার পরিবার তাই আমি ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছি। .

.

ডে-নাইট-নিউজ / জাহাঙ্গীর রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ