ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৪৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী ২০১৮ সালে ঘোষিত পেস্কেল অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া ও মেডিকেল ভাতা পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ও হতাশ তারা।.
বৃহস্পতিবার বকেয়া পাওয়ানার দাবীতে চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হৈচৈ শুরু করেন। খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক এড আজিজুর রহমান এসে তাদের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা জানান। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৪৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীরা ২০০৮ সালের পুরানো পেস্কেল অনুযায়ী মেডিকেল ও বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন। আর বেতন পাচ্ছেন ২০১৮ সালে ঘোষিত পেস্কেল অনুযায়ী।.
এই বৈষম্য দুরীকরণে বৃহস্পতিবার হাসপাতালের প্যারা মেডিক আবু দাউদের নেতৃত্বে ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু তাদের কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোনেন না বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে তারা বহুবার লিখিত দিয়েছেন, কিন্তু কোন কাজ হয়নি।.
হাসপাতালে চাকরীরত তরিকুল ইসলাম জানান, ১৫ বছর ধরে তাদের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রয়েছে। এই র্দুমুল্যের বাজারে অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী দায়দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিকালে জেলা প্রশাসকের সাথে তাদের বসার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।.
এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিলন হোসেন জানান, হাসপাতালের জনবল কাঠামো একটি আইনে চলে। আগে ফান্ডের অবস্থা খারাপ ছিল, এখন ভালো। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবী সঠিক আছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের বিকালে বৈঠক রয়েছে। তিনি দাবী মেনে নিলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা নতুন পেস্কেলে বাড়িভাড়া ও মেডিকেল ভাতা পাবেন।.
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: