দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিরতীহীন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। .
গত বুধবার থেকে সুর্য্যরে দেখা মিলেনি। এদিকে অগ্রহায়নের বৃষ্টিতে বাড়িয়ে দিয়েছে শিশু-বৃদ্ধসহ সববয়সী মানুষের দুর্ভোগ। বৃষ্টিতে জমেছে কাঁদাপানি। চলতে-ফিরতে অসুবিধা হওয়ায় রিকশাসহ কিছু পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। এদিকে আমন ধান পাকায় ধান কাটাই-মারাই ও শুখানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।.
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আদ্রতা ৯৮% এবং বৃষ্টিপাত ৪.২ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। শুরু হওয়া এই বৃষ্টি থাকতে পারে আরও দুই-তিন দিন। অগ্রহায়ণের শেষ সময়ে এই বৃষ্টিতে শীত জেঁকে বসতে পারে।.
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বুধবার থেকে শুরু হয়েছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। এতে রাস্তাঘাটে জমেছে কাদাপানি। রাস্তাঘাটে মানুষের দেখা মিলছে খুবই কম। যারা বের হচ্ছেন তারা সুয়েটার, চাঁদর, জ্যাকেটসহ রেইনকোর্ট পরে বের হচ্ছেন। তবে কিছু রিকশাভ্যান চলাচল করছে।.
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তর জনপদে বুধবার থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়ছে। বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টি ও বাতাসে কাজের খোঁজে বাইরে বেরোতে পারেনি মানুষজন। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
রিকশা-ভ্যান চালক মো. আজিম, নূরে ইসলাম ওসাইদুর রহমান বলেন, দুইদিন থেকে হঠাৎ শীতের সময়ে বৃষ্টি। এতে রিকশাভ্যান নিয়ে বাহিরে বেরোনো যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর-সর্দিতে ভুগতে হবে। তবে এসব তো পেট মানছে না। পেটের দায়ে সুরক্ষা কাপড় পড়ে বৃষ্টিতেও ভাড়া মারতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে যাত্রী কম হচ্ছে।.
দিনমজুর সঞ্জয় কুমার, সুজন ইসলাম, মো. মানিক বলেন, আমরা দিন করি, দিন খাই। ঝড়-বৃষ্টি, শীত আমাদের জন্য না। আমাদের ওপর আমাদের পরিবার চলে। আমরা কর্ম না করলে না খেয়ে পরিবারের সবার দিন কাটবে। তাই বাধ্য হয়ে এই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতেও কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি।.
বৃষ্টিতেও পৌর বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা পলাশ কুমার দাস, সোহেল রানা, অর্ণিমা রানী, ফরিদা বেগম ও মজিবর রহমানের সাথে কথা বললে তারা বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে বাড়ী থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। এর সত্ত্বেও খরচ করতে বাজারে আসতে হয়। কিন্তু বাজারের অবস্থা দেখে বাজারে আসতে ইচ্ছে করেনা। অল্প বৃষ্টিতেই ফুলবাড়ী বাজার কাঁদায় গদগদ করে। হাটলেও কাঁদা ছিটকে শরীরে ওঠে। তবুও রিকশাভ্যান নিয়ে আসতে হয় বাজার করতে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: