দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অতিরিক্ত গরম ও নিয়মিত লোডশেডিংয়ের কারণে বেড়েছে ফ্যানের চাহিদা। তবে সুযোগ নিয়ে নির্ধারিত দামের থেকে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন অসাধু ইলেক্ট্রনিক্স বিক্রেতারা।.
মঙ্গলবার পৌরএলাকার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মার্কেট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অসহনীয় গরমের সুযোগে বাজারে ফ্যানের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দোকানদাররা অতিরিক্ত দাম চাইছেন।.
চার্জার ফ্যান কিনতে আসা প্রেম কুমার গুপ্ত নামে একজন বলেন, যে ফ্যান আগে ১৮০০ টাকায় কিনেছি, তা এখন ৪ হাজার টাকা চায়। সারাদিনে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। উপায় না দেখে বেশি দামেই কিনতে হলো।.
রুবাইয়া অনু নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বেশিরভাগ দোকানে চার্জার ফ্যান নেই। এই সুযোগে বাকি দোকানদাররা অতিরিক্ত দাম হাঁকাচ্ছেন। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়।.
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মালের সংকট থাকায় অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। এ বিষয়ে মমিতা ইলেকট্রনিক্স স্বত্বাধিকারী সাহিদ হোসেন বলেন, বাজারে হঠাৎ ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই সংকট দেখা হয়েছে। ক্রেতারা বেশির ভাগ চার্জার ফ্যান খুজছেন। খুচরা দোকানিরা এই সুযোগে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করছেন।.
দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, তীব্র গরমের কারণে ফ্যান, চার্জার ফ্যান ও এলইডি লাইটের চাহিদা বেড়েছে। যার সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা বেশি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করছেন। পূর্বের পণ্য বেশিামে বিক্রির দায়ে ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে। শিগগিরই ফুলবাড়ী বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: