চারিদিকে চলছে নবান্নের উৎসব। এ উৎসব ঘিরে মাঠে যেমন আমন ধান কাটা-মাড়ার কাজ চলছে ঠিক তেমনি করে কৃষকদের ঘরে ঘরে চলছে আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে নতুন চালের ভাতসহ পিঠা-পায়েস খাওয়া-দাওয়া।.
বাঙালি মানেই তো মাছ-ভাত। আর বড় মাছের স্বাদটাই যেনো আলাদা ব্যাপার। মেয়ে জামাইসহ আত্মীয়-স্বজনদের নবান্ন উপলক্ষে খাওয়ানো হয় মাছ ভাতসহ বিভিন্ন পদের তরিতরকারি। সেই নবান্ন উপলক্ষে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বাজারে উঠেছে ইলিশ, রুই, কাতল, চিতল, সিলভারকার্প, ব্লাডকার্প, ব্রিগেড, বোয়ালসহ হরেক রকমের বড় বড় মাছ।.
নবান্ন উৎসব উপলক্ষে মাছের দাম না-কি বেশ চড়া। এমনটাই বলছেন ক্রেতারা। তাই কেনার পূর্বে চলছে পুরোদমে দাম কষাকষি। ১ কেজি থেকে শুরু করে মিলছে ১০ কেজিরও বেশি ওজনের মাছ। ব্যাপক উৎসাহের মধ্যদিয়ে মানুষ কিনছেন এসব মাছ।.
পৌর মাছ বাজার ঘুরে জানা যায়, ছোট ইলিশ ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, বড় ইলিশ ৮০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা, বড় ব্রিগেড ও সিলভারকার্প ২০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং বড় রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।.
কথা হয় আবির হোসেন, সুমন রায়, সুমি রানীসহ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। প্রত্যেকেই জানান, গত বছরের তুলনায় এবার সব মাছের দাম বেশি। .
মাছ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন, মশিউর রহমান, রেজাউল আলম, জব্বার আলী জানান, নবান্ন উৎসব উপলক্ষে লোকজনের সমাগম হলেও বেচাকেনা তুলনামূলক কম। তারপরও যা হচ্ছে খারাপ না। বাহির থেকে মাছ আমদানি করায় মাছের দাম একটু বেশি।
ফুলবাড়ী পৌরশহরের কাটাবাড়ী গ্রামের বাপ্পি দাস ও বাঁধন দুই সহোদর দামদর করে ৫২৫ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৭৮০ টাকায় ৫ কেজি ২০০ গ্রামের একটি কাতল কিনেছেন । তারা বলেন, অনেক ক্রেতা ও বড় বড় মাছ দেখে ভালো লাগছে। একটি বড় মাছ কিনেছি। নবান্ন উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের আমন্ত্রণ জানিয়ে খাওয়ানো হবে। আমাদের বাঙালি জীবন থেকে উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। .
.
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: