হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ এলাকার সবজি চাষীদের চাষ করা ফসল। নামে মাত্র দায়ীত্ব পালন করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসারগন।.
সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা সদরের চার পাশের হাওরের জমিগুলোতে লাউ, টমেটো, খিড়া, সিম, কাঁচা মরিচ সহ নানা রকমের সব্জি চাষ করেছেন অসংখ্য চাষীরা, অধিকাংশ জমিতে গাছের ফলন ভাল হলেও পাতা গুলো হলুদ রং ধারন করছে, লাউ, টমেটো, সিম জাতের ফসল পরিপক্ষ হওয়ার আগেই মাটিতে ঝরে পরতে দেখা গিয়েছে। জমিতে বপন করা সব্জির চারা গুলো সবল হয়ে বেড়ে উঠলেও অকালে গাছের পাতা এবং ফসল ঝরে পড়ায় শঙ্কায় আছেন সবজি চাষীরা।.
এ বিষয়ে উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের সব্জি চাষী আসুক মিয়া জানান- উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে মিষ্টি লাউ প্রদর্শনী করেছিলাম, উনারা প্রথমে আমাকে সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দিলেও এপর্যন্ত কোন রকম খোঁজ খবর নেননি, নামে মাত্র দায়ীত্ব পালন করেন তারা।.
ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি সমিতিতে প্রকৃত কৃষকদের নাম না দিয়ে উনাদের মনোনীত পুরুষ এবং মহিলাদের নাম দিয়ে সমিতি গঠন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। একই এলাকার সব্জি চাষী আব্দুল কায়ুম মিয়া জানান- আমি উনাদের পরামর্শে টমেটো চাষ করেছি, দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসলী জমির পরিচর্যা করে যাচ্ছি, সম্প্রতি আমার জমিতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, বিষয়টি কর্মরত অফিসার মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি জমিতে এসে দেখে যাবেন বলে আজ পর্যন্ত কোন রকম ব্যবস্থা নেননি। এদিকে আমার জমিতে ফলানো টমেটো গাছ গুলো ঝরে মাটিতে নুয়ে যাচ্ছে, পরিপক্ষ হওয়ার আগেই ঝরে পরছে টমেটো। .
একই এলাকার সবজি চাষী গ্যাস উদ্দিন মিয়া জানান ফসলী জমিতে কোন রকমের সমস্যার কথা জানালে উনারা জমির মাটি নিয়ে কৃষি অফিসে যাওয়ার কথা বলেন, কিন্তু অফিসে সারা দিন বসে থেকেও কোন রকম সারা না পেয়ে বাধ্য হয়েই ফিরে আসতে হয়।.
২নং ইউনিয়নের শেখের মহল্লা গ্রামের সবজি চাষী শামিম মিয়া বলেন কৃষি অফিসারদের অদক্ষতা এবং ভুল পরামর্শে আমি বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, উনারা উনাদের মনগড়া বিভিন্ন ঔষধের নাম লিখে দেন, বিভিন্ন দোকান থেকে ঔষধ কিনে আনার কথা বলেন কিন্তু ঔষধে কাজ না হলে তখন বলেন উনি যে দোকান থেকে ঔষধ আনতে বলেছেন এটা থেকে আনলে আসল ঔষধ পাওয়া যেতো, নকল ঔষধ দেওয়ায় কাজ হয়নি। .
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্ম কর্তা কৃষিবিদ এনামূল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১নং ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান - সকল কৃষকের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে, আমি সবসময় জমি গুলো পরিদর্শন করি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / রিতেষ কুমার বৈষ্ণব, হবিগঞ্জ (বানিয়াচং প্রতিনিধি):
আপনার মতামত লিখুন: