পাহাড়,নদী, বন -জঙ্গল, খাল- বিল সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দৌর্যের লীলা ভূমি হবিগঞ্জ জেলার মাটি। প্রচুর পরিমাণে ফসলী জমি ও জলাশয় থাকায় হবিগঞ্জ জেলার সকল এলাকায় সারাবছর পাখিদের বিচরন চোখে পরার মত। হেমন্ত কালে পাখীদের খাবার আহরন করার উপযোগী জলাশয় এবং ফসলী জমি গুলোতে পাখিরা দল বদ্ধ ভাবে তাদের খাবার আহরন করে। .
সকাল এবং সন্ধ্যা বেলা খাল- বিল, নদী -নালা সহ হাওর গুলোতে রয়েছে পাখি শিকারীদের আনাগোনা। হাওর এলাকার ছোট ছোট বাজার গুলোতে বিক্রি হচ্ছে সাদা বক, কানি বক, শালিক সহ হরেক রকমের পাখি। প্রতিদিন ভোর বেলা এবং সন্ধ্যা বেলা হাওরের রাস্তাগুলোতে খেয়াল করলেই দেখা মিলে শিকারীদের। .
এবিষয়ে বিভিন্ন এলাকার প্রকৃতি প্রেমী সচেতন মহলের সাথে কথা হলে তারা বলেন- আমাদের এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান ফসলী জমি ও জলাশয় থাকায় সারাবছর পাখীরা বিচরন করে। সামনে আসছে শীত কাল, এই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিথি পাখীরা হবিগঞ্জের দিকেই ছুটে আসে,প্রতি বছর অতিথি পাখিদের আগমনে প্রকৃতিতে আসে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য।.
এভাবে পাখী শিকার চলতে থাকলে অতিথি পাখিরা আর হবিগঞ্জের দিকে আসবেনা বলে ধারনা করছেন তারা। .
এ বিষয়ে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি জানান হবিগঞ্জের হাওর গুলো হচ্ছে পাখিদের আবাস্থল, এখানে সারা বছর পাখীদের বিচরন থাকে, একশ্রেণীর চতুর প্রকৃতির লোক গোপনে পাখী শিকার করে বেড়ায়, বন বিভাগের করা নজরধারী থাকা সত্বেও তাদের দমন করা সম্ভব হচ্ছেনা। পাখী শিকার বন্ধ করতে হলে স্থানীয় ভাবে সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। জেলার যে কোন এলাকায় পাখী শিকারীদেরকে চোখে পরা মাত্র স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, সংবাদ কর্মী, অথবা বনবিভাগকে তাৎক্ষণিক অবগত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। .
ডে-নাইট-নিউজ / রিতেষ কুমার বৈষ্ণব- (হবিগঞ্জ)বানিয়াচং প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: