হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ০৩ নং সাতকাপন ইউপির অন্তর্গত আদিত্যপুর গ্রামে গত ১০ ডিসেম্বর রোজ শনিবার মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে শহিদ মিয়া হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর মূল রহস্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উদঘাটন,আসামী গ্রেফতার ও মামলার যথাযথ তদন্তের লক্ষ্যে অত্র জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এস এম মুরাদ আলি মহোদয় শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এলাকার লোকজন ও ভিকটিমের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলেন। তিনি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দ্রুত সময়ে জড়িতের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব রাকিবুল ইসলাম খান,অফিসার ইনচার্জ,বাহুবল থানা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন।.
হাসপাতাল ও নিহতের স্বজন সুত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ব্রাজিল সমর্থক টেনু মিয়ার ছেলে মবশ্বির ও আর্জেন্টিনা সমর্থক আঃ শহিদের পুত্র রুকন মিয়ার বাকবিতন্ডার মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনার জেরে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহিদ মিয়া হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের আতর আলী ও ফজর আলী সহ একদল লোক তাকে মারপিট করে। আহতাবস্থায় শহিদ মিয়ার স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।.
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে নিয়ে নাকি পূর্ব শত্রুতার জেরে এমনটি হয়েছে,তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। অপরাধীদের ধরতে বাহুবল পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।.
বাহুবলের সর্বস্তরের নাগরিকদের নিকট বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে ওসি রাকিবুল ইসলাম খান আরও বলেন,বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে আর যেনো কেউ কোন অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না করেন। এ দেশ ও সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশ প্রশাসন সহ আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।. .
ডে-নাইট-নিউজ / বিশেষ প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: