• ঢাকা
  • শনিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

১০ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে ৭১’র মিত্রবাহিনীর ভারতীয় সেনা সদস্যদের শহীদ দিবস


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১০ পিএম;
১০ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে ৭১’র মিত্রবাহিনীর ভারতীয় সেনা সদস্যদের শহীদ দিবস
১০ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে ৭১’র মিত্রবাহিনীর ভারতীয় সেনা সদস্যদের শহীদ দিবস

আজ ১০ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে ৭১’র মিত্রবাহিনীর ভারতীয় সেনা সদস্যদের শহীদ দিবস
ভুলে গেছি তাদের আত্মত্যাগের কথা
স্মৃতিস্তম্ভ থাকলেও জানানো হয়না শ্রদ্ধা
বিষয়টি জানেই না নতুন প্রজন্ম
.


প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আজ ১০ ডিসেম্বর রবিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের মিত্রবাহিনী ভারতীয় সেনা সদস্যদের শহীদ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে অশোক কুমার ক্ষের নামের একজন ক্যাপ্টেনসহ শহীদ হন পাঁচ ভারতীয় সেনা সদস্য। দেশ স্বাধীনের পর এইসব বীর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হলেও ক্রমান্বয়ে তা বন্ধ হয়ে গেছে।.


এতে করে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছতে বসেছে সেই সব আত্মত্যাগকারি ভারতীয় সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা। দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকলেও এইবার স্মৃতিস্তম্ভটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ সেখানে সেকালের তাৎপর্য সম্পর্কিত একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে সরকার অনুমোদিত সামাজিক ও মানবিক সংগঠন ‘আমরা করব জয় সমাজকল্যাণ সংস্থা’র সদস্যরা।.


প্রবীণ শিক্ষক শিব নারায়ণ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী খানসেনাদেরকে ফুলবাড়ী থেকে বিতাড়িত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী ৪ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। হানাদার মুক্ত ফুলবাড়ীকে শত্রুমুক্ত রাখতে আজকের এইদিনে টহল দেয়ার সময় ফুলবাড়ী-দিনাজপুর সড়কের লোহার বড় ব্রিজের পশ্চিম তীরে খানসেনাদের পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে জীপ গাড়িটি উড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন ক্যাপ্টেনসহ পাঁচ জন ভারতীয় সেনা সদস্য শহীদ হন। পরে তাদেরকে সরকারি কলেজের পূর্ব পার্শ্বে শাখা যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে শেষকৃত্য স¤পন্নসহ সেখানে তাদের সম্মানার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। প্রথম দিকে স্মৃতি স্তম্ভটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলেও এখন আর কেউই শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় না। ফলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্মৃতি স্তম্ভটি। .


    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. এছার উদ্দিন বলেন, মাইন বিষ্ফোরণে শহীদ হওয়া একজন ক্যাপ্টেনের নাম আমার ডায়েরিতে এখনো লেখা আছে। তার নাম ছিল অশোক কুমার ক্ষের। বাকিদের নাম সংগ্রহ করতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে আর স্মৃতিস্তম্ভটিতে শ্রদ্ধা জানানো হয় না। তবে সরকারিভাবে একটি সংরক্ষণসহ এখানে তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মৃতিফলকে লেখার দাবি জানাই। যাতে আগামী প্রজন্ম তাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি জানে। যা যুগযুগ থেকে যাবে যে তারা এ দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। 
 .

.

ডে-নাইট-নিউজ /

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ