লক্ষ্মীপুরে চেক জালিয়াতি করে ব্যবসায়রী বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ আফছার উদ্দিন আজ বুধবার লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদে জানান, আমি নবরুপা হোল্ডিং লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।.
লক্ষ্মীপুর নিউর্মাকেট উক্ত প্রতিষ্ঠানের নির্মানাধীন প্রকল্প। বিগত ২৫.০৮.২০১১ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর নিউ মার্কেটের নিচ তলায় ১৮নং দোকানটি মহাদেবপুর গ্রামের সাইফুল্লা মাস্টারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কে বরাদ্ধ দেই। ২৯.১১.২০১১ইং তারিখে উক্ত দোকান রেজিঃ করে তাকে দোকানের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীর আলম বিদেশ থেকে দেশে এসে দেখে ১৮নং দোকনটি আবুল খায়ের নামে এক জন দখল করে আছে।.
পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এর কাছে বিচার দেন। তিনি দুই পক্ষকে তাঁর বাসায় ডাকেন। সেখানে আমিও মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবুল পাঠান উপস্থিত হই। উভয়পক্ষের কথা শুনে ১৮ লক্ষ টাকা জাহাঙ্গীর আলম কে দিয়ে দোকানটি আমি ফেরত নিতে হবে। সিকদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ ধানমন্ডি শাখর চলতি হিসাব নং-১৮৫৮, চেক নং- আই বি বি এল ৪০৫৮৭৩৪ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের কাছে জমা দেই।.
কথা হয় জাহাঙ্গীর আলম ১৮নং দোকানটি আমার নামে সাব কবলা রেজিঃ দিয়ে উক্ত চেকের ১৮ লক্ষ টাকা নগদায়ন করবে। কিন্তু সিকদ্ধান্ত অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম আমার নামে দোকানটি রেজিঃ করে না দিয়ে রায়পুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুল পাঠানের নামে একটি আমোক্তার নামা দলিল দিয়ে আবার বিদেশে চলে যায়। আমার দেওয়া চেকটিও নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের কাছ থেকে রফিকুল ইসলাম বাবুল পাঠান নিয়ে যায়।.
বাবুল পাঠান দোকানের দখল বুঝে পাওয়ার জন্য আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা নং-৪০/১৬ দায়ের করেন। তিনি দোকান ঘর বুঝে নিয়েও আমার চেকটি ফেরত না দিয়ে উল্টা আমার বিরুদ্ধে রায়পুর উপজেলার দেনায়েতপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কে বাদী করে লক্ষ্মীপুর আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা নং-৫৮১/১৬ইং দায়ে করেন। প্রকৃত অর্থে উক্ত মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম পিতা শাহ আলম কে আমি চিনিনা।.
মামলটি ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানীর জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কার্যতালিকায় রয়েছে। মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে অ্যাডভোকেট প্রেমধন মজুমদারের করা উকিল নোটিশের লিখিত জবাব দিলে তিনি সেখানে স্বাক্ষর করেন। উকিল নোটিশের জবাবে আমি উল্লেখ করি উপযুক্ত প্রমানাদি দিয়ে উক্ত চেকের টাকা গ্রহণ করতে। মামলার বাদী ও আইনজীবি আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। উক্ত বিষয়টি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, সিআইডি কর্তৃক সঠিক তদন্ত করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচারের দাবী করছি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: