জানা গেছে, নিহত কনস্টেবলের বড় ভাই বাদী হয়ে ঘাতক কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আসামি করে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ২। রোববার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।.
.
.
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এ আদেশ দেন। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।.
.
এ সময় বিচারক কাউসারকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি পালিয়ে যাননি কেন? জবাবে কাউসার আদালতকে বলেন, ‘আমি তো ডিরেক্ট মার্ডার করেছি, আমি পালাব কেন। এদিন তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।.
.
.
এর আগে শনিবার দিনগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরেকজন পথচারী আহত হয়েছেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।.
.
ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় সোয়াত টিম। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে ঘাতক কনস্টেবলকে হেফাজতে নেয় গুলশান থানা পুলিশ।.
.
শনিবার দিনগত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউসারের হাতে যে এসএমটি সাবমেশিনগান ছিল, সেটি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা। এই বন্দুক থেকে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে কাউসার।.
.
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসারের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়ে মনিরুলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে কাউসার। ইতোমধ্যে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।.
. .
ডে-নাইট-নিউজ / সুমন সরকার ঢাকা:
আপনার মতামত লিখুন: