আজ ২৮ অক্টোবর। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫০ তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ তিনি হন।ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।তাঁর পিতা আক্কাস আলী মন্ডল ছিলেন ভূমিহীন কৃষক এবং মা কায়েদুননেসা ছিলেন একজন গৃহিণী। হামিদুর রহমান শৈশবে খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরে স্থানীয় নাইট স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৯৭০ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে সিপাহী পদে যোগ দেন। সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার পরই প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে পাঠানো হয়৷মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে হামিদুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।মৌলভীবাজার জেলার ধলাইতে ছিল পাক বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি। কৌশলগত দিকে দিয়ে এ ঘাঁটি দখল জরুরি হয়ে পড়ে মুক্তি বাহিনীর জন্য। মুক্তি বাহিনী পাক সেনা ঘাটি আক্রমাণ করে দখল করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৮ অক্টোবর ধলাই পাক সেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে মুক্তি বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। দুটি মেশিন গান পোষ্ট থেকে তুমুল গুলি বর্ষণ করতে থাকে পাকসেনারা।.
মেশিনগান পোষ্ট ধ্বংসের দায়িত্ব পড়ে হামিদুর রহমানের উপর। এগিয়ে যান হামিদুর রহমান। ধ্বংস করেন মেশিনগান পোষ্ট। মুক্তি বাহিনীর দখলে আসে পাক সেনাঘাঁটি। শত্রুর গুলিতে সেখানেই শাহাদাৎ বরণ করেন হামিদুর রহমান। তার সহযোদ্ধাগণ হামিদুর রহমানের মৃতদেহ ভারতে নিয়ে ত্রিপুরার আমবাশা এলাকায় সমাহিত করেন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভুষিত করা হয় হামিদুর রহমানকে।২০০৭ সালে এ বীরের দেহাবশেষ ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: