দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ব্যাপক উৎসব মুখরতায় পালিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা দোলযাত্রা।.
বুধবার (৮ মার্চ) এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।.
ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী শ্যামা কালী মন্দির ও শ্রীশ্রী শিব মন্দিরের উদ্যোগে মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়। দিনের প্রথম প্রহরে ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে জগতের মঙ্গলকামনা করেন পুরোহিত। এ সময় উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ।
শ্রী কৃষ্ণ ও রাধার স্মরণে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা সকাল থেকেই ভিড় জমান বিভিন্ন মন্দিরে। ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী পুরাণ অনুযায়ী বসন্তের এই পূর্ণিমায় বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণ পুষ্পরেণু ছড়িয়ে দোল উৎসব উৎযাপন করেছিলেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘আবির’। সেই রীতি অনুযায়ী, এই মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহের সামনে রাঙিয়ে তুলেন নিজেদের।.
জানা যায়, দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করা হতো। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। .
উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি বাসা-বাড়িসহ মন্ডপ-মন্দিরে সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এ উৎসব চলে। হিন্দু সম্প্রদায় পরস্পরকে রং ও আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করছেন।.
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: