ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।.
গতকাল মঙ্গলবার রাতের পর থেকে চকরিয়া উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় বন্যার পানি কমলেও উপকূলীয় অঞ্চল পেকুয়া উপজেলায় এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে বেশ কিছু জনবসতি। এখনও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।.
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী নদীর কমপক্ষে ১৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এসব ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। .
এদিকে গত ৩ দিনে পাহাড় ধস, পানিতে ভেসে এবং সাপের কামড়ে চকরিয়া পেকুয়া রামু এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭ জন মারা গেছে। চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ধসকবলিত এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুই উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।.
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান আরও জানিয়েছেন এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সব ইউনিয়ন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং সাত লাখ টাকা নগদ সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্গত মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন নৌবাহিনী কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।.
ডে-নাইট-নিউজ / ডে নাইট ডেস্ক:
আপনার মতামত লিখুন: