শিল্পনগরী নদী বন্দর আশুগঞ্জ, কর্মের সন্ধানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ভিড় করে এ বন্দরে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘ কয়েক বৎসর আগে কোন এক সময় আশুগঞ্জ থানার নিকটে সোনারামপুর গ্রামে একখন্ড ভিটি বাড়ি ক্রয় করে বসবাস শুরু করে এর মধ্যে যাত্রাপুর গ্রামের মোহাম্মদ নামের এক লোকের মেয়েকে বিয়ে করে শাহ আলম। .
বিয়ের করার পর থেকেই শুরু হয় নিজের স্ত্রীকে মারধর করে যৌতুকের জন্য, মেয়ের পিতা-মাতা সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক টাকা পয়সা দিয়ে নিজের মেয়ের সুখের স্বপ্ন দেখতে চাই। এরই মধ্যে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয় শাহ আলম। ছেলে সন্তান হওয়ার পর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়।.
এদিকে যৌতুকের টাকার জন্য হঠাৎ একদিন নিজ শ্বশুরকে আশুগঞ্জ রেলগেইট রিকশা থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে বেদম মারধর করে। যার কারণে বৃদ্ধা মোহাম্মদ মৃত্যু বরণ করেন। এই ঘটনায় শাহ আলমের চাচা শ্বশুর শরিয়ত উল্লাহ্ বাদী হয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।.
বর্তমান মামলাটি চলমান আছে। এ দিকে কি তার পরিচয় জানতে এই প্রতিবেদক সোনারামপুর গ্রামের সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে আলাপ করেন। বয়সে একজন মুরুব্বি বলেন শুনছি গাজীপুরের কোনাবাড়ী এর জন্মস্থান, কিন্তু তার পিতা মাতা কোন দিন শাহ আলমের বাড়িতে আসতে দেখি নাই। .
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় হাজী আঃ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিহির মাষ্টার সাহেবের বাড়ি ছিল। কিন্তু মাষ্টার সাহেব শাহ আলমের অনাচার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়িটি অল্প টাকায় বিক্রি করে চলে যায়, এ দিকে আরো জানা যায় সজিব ঘোষ নামের এক হিন্দু পরিবারের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয় এবং বাড়ির দরজা জানালা গ্রীল লোহার গেইটসহ খুলে রাত-দুপুরে নিয়ে বিক্রি করে দেয় ভাঙ্গারী দোকানে। তথ্য মতে জানা যায় গত তিন বৎসর আগে স্থানীয় মোঃ আখতার মিয়া পিতা- মোঃ তাজু মিয়া সাং- সোনারামপুর। আখতার মিয়ার শিশু বাচ্চাকে শাহ আলম মারধর করলে এর প্রতিবাদ করেন আখতার মিয়া সহ তার ভাই ভাতিজারা এ-নিয়ে এক জটিল সংঘর্ষ বাঁধে শাহ আলম মিয়ার সাথে।.
বিষয়টি গ্রামের সাহেব সরদার গণ আখতার গংদের ষাট হাজার টাকার জরিমানা করে শাহ আলমকে দিয়ে বিষয়টি নিস্পতি করে দেয়। উক্ত ঘটনার পর শাহ আলম ইচ্ছা করেই সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বিভিন্ন ঘটনার সূত্রপাত তৈয়ারী করে ধান্দা নামক টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যবসা খুলে বসে আছে, কারণে অকারণে যখন-তখন থানা পুলিশ সহ কোর্টকাছারিতে মামলা করে দেয়া সহ সামাজিকভাবে সাহেব সরদারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরে বিষয়টি তিল থেকে তাল বানিয়ে টাকা জরিমানা আদায় করা তার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।.
সাংবাদিক এসেছে শুনে মুহূর্তের মধ্যে কয়েক শত নারী পুরুষ জড়ো হয়ে যায়। শত শত মানুষের সামনে কয়েকজন মহিলা বলে উঠে এই শাহ আলমকে আমরা সোনারামপুর এলাকায় দেখতে চাইনা প্রদিবেদক তাদের প্রশ্ন করলে বলেন, এই লোক দুইটা বিয়ে করেছে আজ আট দশ বৎসর যাবৎ তার কোন বউ নাই, সে আমাদের একা পেলে টিটকারি মসকারী করে এবং কু-প্রস্তাব দেয়। সে একজন লম্পট বদমাশ খারাপ মানুষ, মানুষের সাথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এর নেশা। আমরা তার শাস্তি চাই এদিকে খুজ নিয়ে জানা যায় বিগত ৮/৩/২০২৩ ইং সকালে মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে লম্পট শাহ আলম খারাপ ভাষায় টিটকারি করে এ নিয়ে শাহ আলমকে ইব্রাহিম, রাজিব, প্রতিবাদ করলে শাহ আলম বাড়ি থেকে লোহার শাবল নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ইব্রাহিম এবং রাজিবের বাড়ি ঘরে হামলা করে! এ-বিষয়ে ইব্রাহিম বলেন আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পুলিশ প্রশাসনের আশ্রয়ে বাঁচতে চাই।.
এলাকার শিক্ষিত সচেতন মানুষ সহ জন প্রতিনিধীরা বলেন অপরাধী শাহ আলম দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিগ্ন ঘটাচ্ছে! এর একটা সুষ্টু সমাধান করা উচিত। আমরা বলব এ বিষয়ে মানবতার জননীয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরের তদন্ত সংস্থা যেমন CID, DB,RAB গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারীর মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী অপরাধীকে কঠোর ভাবে দমন করা হউক। বর্তমান সরকারের আমলে এমন বহু ধান্ধাবাজ শাহ আলম কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করিতেছে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।. .
ডে-নাইট-নিউজ / এস এম জজ মিয়া ক্রাইম রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আপনার মতামত লিখুন: