ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদের দিন মজুরের কন্যা চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা শাকিলা আক্তার নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবার দাবি আবেদনের পরেও এ নিয়ে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।.
আজ কাল বলতে বলতে মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল দুপুরে নিহতের পিতা নুরুল হুদা বাদী হয়ে রামু থানায় লিখিত এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। .
৩১ মার্চ গভীর রাত ৩ টার দিকে রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বাবিল এলাকার স্বামী এখাছুর রহমানের বসতঘর থেকে উদ্ধার হয় ২২ বছর বয়সী শাকিলা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ। নিহত শাকিলা আক্তার ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বদি উদ্দিন পাড়া এলাকার নুরুল হুদার কন্যা।.
মরদেহ উদ্ধারের পর দিন তার স্বামী এখাছুর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে হত্যার অভিযোগ এনে লিখিত এজাহার দেন শাকিলার বাবা। তবে এই অভিযোগ এখনও মামলায় রূপান্তরিত হয়নি। এক বছর আগে শাকিলার বিয়ে হয় রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বারবিল এলাকার শাহাব মিয়ার ছেলে এখাছুর রহমানের সঙ্গে। .
শাকিলার বাবা জানান, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার নামে যৌতুক দাবি করতেন এখাছুর রহমান। মেয়ের সংসারে শান্তির চিন্তা করে দেড় বছর আগে জমি বিক্রি করে টাকা দেন তাকে।.
তিনি জানান, পরে সে টাকা জুয়া খেলে ও নেশা করে এবং পরকীয়ায় উড়িয়ে দেন এখাছুর। কিছুদিন আগে আবারও টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে আর টাকা আনতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন শাকিলা৷.
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত টাকার জন্যই আমাকে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা হয়তো অনেকে দেখে ফেলেছে, এজন্য বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে।.
যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। মেয়ে হত্যার মামলা করার জন্য থানায় গিয়েছি। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। শাকিলার মাতা ও এলাকার লোকজন জানান, শাকিলা আত্মহত্যা করতে পারে না। সে যদি আত্মহত্যা করত, তবে এখাছুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেত না।.
বিষয়টি জানতে চাইলে গৃহবধূ শাকিলা মরদেহের ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আনোয়ার হোসাইন।.
তিনি আরও জানান, এ এলাকার মানুষ মিথ্যা দিয়ে শুরু করে আর মিথ্যা দিয়ে শেষ করে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার
আপনার মতামত লিখুন: