চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজে বদলে যাচ্ছে এই এলাকার সড়ক যাতায়াত ব্যবস্থা। পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার ও বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি স্থানে ছয় লেনের সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখন সেগুলো উদ্বোধনের অপেক্ষায়।.
৬ লেনের সড়কের কাজ শেষ হলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ছাড়াও পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় যাতায়াত ও পর্যটনের ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হবে। পর্যটকরা যানজট ছাড়াই দ্রুত এই সড়কে চলাচল করতে পারবেন।.
আরাকান সড়কে উন্নয়ন ছাড়াও ৪টি স্থানে বাইপাস ও ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে পটিয়ার শান্তির হাটে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পটিয়া, দোহাজারী, আমিরাবাদ ও চকরিয়া এলাকায় বাইপাস সড়কের কাজ রয়েছে। পটিয়ার ইন্দ্রপুল থেকে কচুয়াই ইউনিয়নের গিরিশ চৌধুরী বাজার এলাকা পর্যন্ত দুই লেনের একটি বাইপাস সড়ককে এখন ৬ লেনে উন্নয়নের কাজ চলছে।.
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমদ জানিয়েছেন, পটিয়া ইন্দ্রপুল এলাকায় ছয় লেনের একটি সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া বড়গুনি খালের ওপর একটি সেতু, দোহাজারী শঙ্খ নদীর ওপর তিন লেনের দুটি সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আরেকটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর ওপর তিন লেনের দুটি সেতুর কাজ চলছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল (জাইকা) এর যৌথ অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কে ছয় লেন সেতু নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্প্রেকট্রা-সি আর ২৪ বি জয়েন্ট ভেনচার।.
প্রকৌশলী জুলফিকার আহমদ আরু জানান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক প্রশস্তকরণ ছাড়াও এই সড়কে বাঁক সোজাকরণের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। যা আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় জাইকার অর্থে মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কে থাকবে না আর যানজট এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তেব্য পৌছানো সম্ভব। ছয় লেনের সেতু নির্মাণের পাশাপাশি বাজার, লেভেল ক্রসিং, রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। তাছাড়া কর্ণফুলীর শিকলবাহা ক্রসিং থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৫৯ কি.মি. এবং কক্সবাজার লিঙ্ক রোড থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৭৬ কি.মিসহ মোট ২৩৫ কি.মি.সড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।.
বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল (জাইকা) এর যৌথ অর্থায়নে মহাসড়কের পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশ উপজেলার বরগুনি সেতু, দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া মাতামুহরী সেতু নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্প্রেকট্রা-সি আর ২৪ বি জয়েন্ট ভেনচার।.
২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর কাজ শুরু করে। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ সেতু ৪টির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৭৫১ কোটি টাকার এই কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিবিআরএনআইপি) প্যাকেজের আওতায় মিডিয়াম সাইজের ওই প্রকল্পে সেতুসহ সংযুক্ত সড়ক রয়েছে। নির্মাণ প্রকল্প সড়ক নং-এএইচ ৪১ (চট্টগ্রাম-কক্সবাজার)। ৬ লেনের পটিয়া ইন্দ্রপুল, চন্দনাইশের বরগুনি, শঙ্খ ও মাতামুহুরী সেতু নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। এসব সেতু দিয়ে বর্তমানে যানবাহন চলাচল করছে। তবে মূল সড়কের কাজও এখনও চলমান। বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছতে যেখানে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে সেখানে ৬ লেনের কাজ সমাপ্ত হলে মাত্র সময় লাগবে দুই ঘন্টা ।. .
ডে-নাইট-নিউজ / দিদারুল আলম জিসান
আপনার মতামত লিখুন: