সিলেটে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতা সমাগমে কোনো ঘাটতি নেই।.
সোমবার (২৭ মার্চ) বেলা ৩টায় সরেজমিনে মহানগরীর বাণিজ্যিক এলাকা বন্দরবার, জিন্দাবাজার, আম্বারখানা, শিবগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, বাবনা পয়েন্ট সহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা দুপুর গড়িয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকান গুলোতে ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।.
রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে ইফতারের দোকান গুলো। দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রেতার ব্যস্ততা সরগরম হয়ে ওঠে ইফতার বাজার। এছাড়া খুচরা ব্যবসার পাশা পাশি নামি দামী ব্যান্ডের রসমেলা, বনফুল, ফুলকলি, পিউরিয়া, মধুফুল, ফিজা কোম্পানী শো রুম গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।.
বর্তমানে সিলেট শহর ও আশ পাশের ছোট-বড় সব ইফতার দোকান মিলে প্রতিদিন গড় হিসেবে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সিলেটের ইফতার ঐতিহ্যে রয়েছে পেছ জিলাপি, ছোলা, বুন্দিয়া, বেগুনি, পিঁয়াজি, ডিম চপ, সবজি রোল, ছানার পোলাও, হালিম, হালুয়া, বুট বিরানি, ঝুরিয়া মুড়ি। আর কদর রয়েছে জিলাপি, বুন্দিয়া, বেগুনি, পিঁয়াজি আর হালিমের।.
রোজাদারদের কাছে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের বোনা খিছুড়ি খেজুর ও ফলমুল।.
এছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে জিলাপি ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, নিমকি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, বুন্দিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সিদ্ধ ছোলা ১২০ থেকে ১৭০ টাকা, ছানার পোলাও ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, বেগুনি ৮ ও ১০ টাকা পিস, আলুর চপ ১০ থেকে ১৫ টাকা, পিঁয়াজি ৩ থেকে ৫ টাকা, সবজি রোল ৮ থেকে ২৫ টাকা, শামী কাবাব ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, নিমকপোড়া ও চিড়া ভাজা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কলা প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে চিনিতে ভেজা বাখর খানিগুলো। এদিকে মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকায় বিক্রেতারা বেশ খুশি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / আবুল কাশেম রুমন,সিলেট:
আপনার মতামত লিখুন: