ঝিনাইদহে এবার জাল সার্টিফিকেটে ৩১ বছর ধরে চাকরী করার অভিযোগ উঠেছে। হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের রথখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। সরজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, ১৯৯১ সালে মাধ্যমিক পাশ করেই ১৯৯২ সালে রথখোলা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে চাকরী শুরু করেন ফয়েজুর রহমান ও শরিফা খাতুন।.
সহকারী শিক্ষক ফয়েজুর রহমান রথখোলা গ্রামের খোয়াজ উদ্দীনের ছেলে এবং অপর শিক্ষিকা শরিফা খাতুন বাজিতপুর গ্রামের আবুল কাশেম শেখের মেয়ে। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে গ্রামের কিছু উদ্যোগী মানুষের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৩ সালে সারা দেশের ন্যায় ওই স্কুলটি সরকারীকরণ করা হয়। তখন অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বয়স না হওয়ায় আশ্রয় নেন জালিয়াতির। চাকরী টিকাতে শুরু করেন দৌড় ঝাপ।.
অবশেষে সঙ্গী হিসাবে সাথে নেন একই স্কুলের অপর শিক্ষিকা শরিফা খাতুনকে। বিভিন্ন মহলে যখন টাকা দিয়ে কাজ হচ্ছিল না ঠিক তখনই দুজনে মিলে বড় ধরণের জালিয়াতির আশ্রয় নেন। চাকরীর বয়স না হওয়ায় ১৯৯৬ সালে নিজেদের বয়স পরিবর্তন করে নেন নিজেদের সার্টিফিকেটে। অভিযোগ উঠেছে হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে টাকা দিয়ে এখনো তারা চাকরী করে যাচ্ছেন।.
এ ব্যাপারে রথখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম বলেন "বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে বয়স বাড়ানোর বিষয়টা যদি তারা নোটারি করেও থাকে তারাপরও সেটা সরকারী চাকরীর অন্যায় ও অগ্রহনযোগ্য। বিষয়টি যেহেতু আমি জানতে পেরেছি সেহেতু এটার বিষয়ে শিক্ষা অফিসে কথা বলে ব্যবস্থার জন্য বলবো"। অন্যদিকে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে বয়স বাড়িয়ে চাকরীর করার বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন এটা যে অন্যয়, তা আমরা জানতাম না।.
স্কুলে তথ্যাঅনুসন্ধানে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শরিফা খাতুনের মেয়ে গনমাধ্যমকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিষয়টি নিয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমানের কাছে জাল সার্টিফিকেটে চাকুরী কারার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আমার কাছে অভিযোগ এসেছে আমি বিষয়টি তদন্ত করে অতিদ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: