অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস। অফিসটিতে টাকা ছাড়া কোন ধরনের কাজ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা না দিলে মাসের পর মাস নড়ে না কোন ফাইল পত্র।.
এছাড়াও প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মুহিন শিপন নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।.
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ আদালতের রায় ও ডিক্রীমুলে রেকর্ড সংশোধনী ও নামজারীর অনুমতি প্রার্থনা করে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়। সেই আবেদনটি তদন্তের জন্য শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।.
আবেদনের অগ্রগতি জানতে ওই ভুক্তভোগী উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে সেখানকার কর্মরত ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন এবং চয়ন কুমার দাস তার কাছে একাধিকবার ঘুষ দাবি করে।.
একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর কাছে সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদ মতামত লিখা, নথি সৃজন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ বাবদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে জানান। ঘুষ না দেওয়ায় দিনের পর দিন তার ফাইল ফেলে রাখেন। এছাড়াও ওই ভুক্তভোগীসহ অনেকের কাছ থেকেই মিস মামলার শুনানির জন্য হাজিরা ফি বাবদ প্রকাশ্যে ৫০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করেন সামছুদ্দিন আহমেদ।.
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাহিদ ভূঞা বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অবগত হয়েছি। যেহেতু জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে সেখান থেকে তদন্ত করে দোষী সাব্যস্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / মো: উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ:
আপনার মতামত লিখুন: