দিদারুল আলম জিসান: প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলা কারাগারের চিত্র। সেবার মান বেড়ে এখন আগের চেয়ে বহুগুণ : শুধু তাই নয় পাশাপাশি.
কারা অভ্যন্তরের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে বিদ্যমান থাকায় অত্যন্ত খুশি ও হাস্যজ্জল কারাবন্দিরা : --------- .
বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খানের সুদক্ষ পরিচালনায় কক্সবাজার জেলা.
কারাগার এখন দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত মডেল কারাগার হিসেবে বন্দীদের বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা মানবিক সেবা অর্জনে স্বীকৃতি পেয়েছে। এমনটাই জানালেন .
জামিনে মুক্ত : টেকনাফ সাবরাং এলাকার : আব্দুল মাজিদ : নুরুল আলম 'খাইরুল বাশার 'ইব্রাহিম মিয়া 'সহ আরো কয়েকজন: কারাবন্দি - তাদের মতে, বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খানের দক্ষ ও মানবিক সহনশীলতার প্রতীক ও .
যোগ্য নেতৃত্বে ও কঠোর পদক্ষেপে কক্সবাজার জেলা কারাগার ব্যাতিক্রম এক নজির সৃষ্টি করেছে।.
রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ” এ শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে ---- .
সুপার মোঃ শাহ আলম খানের যোগ্য নেতৃত্বে কারাগারে ভেতরে বাহিরে কর্মরতরা একাগ্রচিত্তে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। জেলার শওকত হোসেন মিয়া) ও বন্দীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন -সমানতালে : .
কক্সবাজার জেলা কারাগারে আগের চেয়ে বেড়েছে বন্দী সেবার মান। বর্তমান জেল সুপারের সুদক্ষ.
পরিচালনায় কক্সবাজার জেলা কারাগার এখন ওসমানসহ একাধিক কারাবন্দি। পবিত্র রমজান মাস এলেই দেশের কারা অভ্যন্তরে বন্দীদের জন্য বাড়ে.
হরেক রকম সুযোগ সুবিধা ।ইফতার, সেহরিতে দেওয়া হয় হরেক রকম খাবার এবংবন্দিরা.
ধর্মীয় রীতি নীতি অনুসরণ করে রোজা নামাজের মাধ্যমে সেখানকার পরিবেশকে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর করে.
তুলে। জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান কক্সবাজার জেলা কারাগারে যোগদান করার পর থেকে বিধি বিধান অনুসরণ করেই কারাগার পরিচালিত হচ্ছে। কারা বিধি মোতাবেক প্রাপ্য সকল সুবিধা.
বন্দিদের সমানভাবে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জেল সুপারের নেতৃত্বে কারাগারে শান্তি-শৃংখলা সৃষ্টি, কারা.
মনিটরিং, অসুস্থ বন্দিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, কারা ক্যান্টিনে ন্যায্যমূল্যের ব্যবস্থা, টেলিফোনে.
সার্বক্ষণিক তাকি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সর্বোপরি বন্দীদের.
মৌলিক চাহিদাসমূহ পৌঁছে দিতে কাজ করছেন কারাগারের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। সততায়.
অবিচল থেকে মডেল কারাগারে রুপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন জেল সুপার ও জেলার ।.
এদিকে বর্তমানে কারাগারে চিকিৎসা.
সেবা দেয়ার জন্য কক্সবাজার কারা হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসক নিয়োজিত রয়েছেন। এসব.
চিকিৎসক প্রতিদিন রোগিদের দেখেন এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। এদিকে সদ্য কারামুক্ত.
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার করিম জানান, তারা একটি মামলায় বেশ কিছুদিন কারান্তরীন ছিল। বর্তমানে কারাগারের পরিবেশ.
বেশ চমৎকার। কারাগারে প্রত্যেক বন্দিদের সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে.
সদ্য কারামুক্ত চকরিয়া গান্ধিপাড়ার দোস্ত মোহাম্মদ ও মাষ্টার হাফেজ আহমদ জানান, কারাগারে.
উন্নতমানের খাবার দেয়া হয় বন্দিদের। কারা কর্তৃপক্ষ খুব সুন্দরভাবে কারাগারে সেবা প্রদান.
করে যাচ্ছে। টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার আব্দুর রহমান সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন) প্রতিদিন তিনি কারাগারের সকল ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং কেউ যেন কোন অনৈতিক কর্মকান্ড করতে না.
পারে সেজন্য কারারক্ষীদের সচেতন.
হওয়ার নির্দেশ দেন। সুপার মোঃ শাহ আলম.
পাড়ার হাসিনা বেগমের সাথে। তিনি এসেছেন তার কারাবন্দী স্বামীর জন্যই পিসিতে টাকা দিতে। তিনি জানান, স্বামীর সাথে সাক্ষাত করে এই কারাগারের ভেতরের পরিবেশের যথেষ্ট সুনাম শুনেছেন।.
ডেপুটি জেলার আবদু সোবহান বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারা বন্দিদের প্রত্যক্ষ সেবা প্রদান করতে চেষ্টা.
চালিয়ে যাচ্ছি। কারাগারে যাতে বন্দীরা সমান ভাবে সুযোগ সুবিধা ও সেবা পায় সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে উল্লেখ্য কক্সবাজার জেলা.
কারাগারে বন্দী ধারনক্ষমতা ৮ শ ৩০ জন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বন্দী রয়েছেন প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি : ধারন ক্ষমতার প্রায় ৫ গুন বেশি বন্দী নিয়ে মানব সেবায় নজির সৃষ্টি করা। উক্ত কারাগারে মায়ের সাথে বিনা অপরাধে জেল.
খাটা শিশুদের রোজ দুইবার তরল দুধ দেওয়া হয়। জেলে থাকা এসব শিশুদের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার (পরিচর্যা) সেন্টার। শিক্ষকরা রোজ তাদের.
প্রাথমিক ও মৌলিক শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। কারাভ্যন্তরে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নকারীদের বেশিরভাগই হচ্ছেন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ও স্বেচ্ছাশ্রমে আগ্রহীরা। কারাগারে ৩০০ জন বন্দি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬ তলা ভবন উদ্বোধন হওয়ায়.
বন্দিদের দীর্ঘদিনের শোয়ার জায়গার সমস্যার লাঘব হয়েছে । কারাগারে মশা নিধনের জন্য পৌরসভা থেকে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে. এদিকে দেখা সাক্ষাতের পাশাপাশি বিধি মোতাবেক প্রতি সপ্তাহে একবার প্রত্যেক বন্দী পরিবারের সাথে মোবাইলে কথা বলতে পারায় বন্দি ও তাদের স্বজনেরা অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান বলেন, কারাগার একটি স্পর্শকাতর সরকারী গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান ।কারাগারে বিগত দীর্ঘ দিন ধরে আমি কর্মরত আছি। কাঠামো ও অবকাঠামোগতসহ কারাগারের সার্বিক কাজ করে.
যাচ্ছি । কারাগারের সেবার মান বাড়িয়েছি। কারাগারে মাদকের প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।এখনো অনিয়ম-দুর্নীতির কোন.
প্রশ্নই আসে না। যদি কারাগারের কোন সদস্য অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন কারা বন্দীরা.
সমাজ ও দেশের বোঝা নয়, কারামুক্ত হলেই তারা হবেন পরিবার ও দেশের সম্পদ। তাদের অতীতের সব উশৃঙ্খল পথ ছেড়ে অলোর পথে ফিরিয়ে আনতে এসব হাজতি-কয়েদির কারাভ্যন্তরে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেয়া.
হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, বিনোদন, প্রশিক্ষণ দানসহ দেয়া হচ্ছে মোটিভেশন । তবে কোন কোন দুষ্টচক্র কক্সবাজার কারাগারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত.
হয়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক । তিনি আরো জানান : প্রতিদিন মাইকিং করে এবং দেওয়ালে পোস্টার আকারে লিখিত দেওয়া আছে সাধারণ বন্দিদের দেখাকারীরা যেন কোন দালালের খপ্পরে না পড়ে কেউ যদি বন্দীদেরকে কে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে এরকম ফোন করলে সাথে সাথে কারা কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্যও প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে । তারপরেও মাঝেমধ্যে শোনা যায় অজ্ঞাত নাম্বার থেকে জেলখানা থেকে কল দিচ্ছি বলে অনেক নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা পয়সা : সেখানে কোন কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত নেই : জেলখানার নাম ভাঙ্গিয়ে বাহিরের অসাধু চক্র- এসব ধান্দায় লিপ্ত রয়েছে - মানুষকে ক্ষতি করার জন্য: তারপরেও যদি কারাগারের কোন কর্মচারী অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ অথবা সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ও জানান জেল সুপার।.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: