দীর্ঘ ১০ বছরের মিলেনি পূর্বাচলে আদিবাসীর সাময়িক বরাদ্দকৃত প্লট। আবেদনের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও ফাইল দুটি অফিস থেকে গায়েব হয়ে গেছে। ভুক্তভূগি আদিবাসী পরিবার কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ৪৩৫৯৯ ও ৪৩৪৮৯ কোডের ফাইলের কোন সন্ধান পাচ্ছেনা। অনুসন্ধানে জানা যায়, আদিবাসী জনাব মোঃ আলী আহম্মদ, পিতা-মৃত মোঃ জমির উদ্দিন, জামানত বাবদ ৩০,০০০/- টাকা জমা দিয়ে মূল আদাবাসী ক্যাটাগরীতে ০৩ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে মোঃ জাহান আলী, পিতা-মৃত মমতাজ আলী, জামানত বাবদ ৫০,০০/- টাকা জমা দিয়ে মূল আদিবাসী ক্যাটেগরীতে ০৫ কাঠা আয়তনের প্লটের জন্য আবেদন করেন। তাদের দুইজনের আবেদন দুটি বিবেচনা করে যৌথভাবে ০৩ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দ করে। যার স্মারক নং-রাজউক/এষ্টেট-৩/৩/১৬৪ পোঃ, তারিখ ০৮/১২/২০১৩ এবং কোড নং-৪৩৫৯৯ ও ৪৩৪৮৯।.
মোঃ আলী আহম্মদ বিগত ১৯/০১/২০১৪ইং তারিখে এক আবেদন পত্রের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ/আধিবাসী কোটায় ০৩ কাঠা প্লটের অর্ধেক অর্থাৎ ১.৫ কাঠা প্লটের পরিবর্তে তাকে এককভাবে ৩ (তিন) কাঠার প্লট বরাদ্দ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান। তিনি জানান যে, তিনি একজন আদিবাসী। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮ জন। ১.৫ কাঠা প্লটের উপরে বড় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করা কষ্টসাধ্য। পরবর্তীতে বিগত ০১/০৮/২০১৬ইং তারিখে জনাব মোঃ আলী আহম্মদ আরেকটি আবেদন করেন। উক্ত আবেদনে তিনি জানান যে, ১.৫ কাঠার প্লটে ৮ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করবেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে এককভাবে ০৩ কাঠা আয়তনের প্লটের জন্য আবেদন করেন। বিষয়টি নথিতে উপস্থাপন করা হলে কর্তৃপক্ষের সভায় উপস্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন।.
এমতাবস্থায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে কোড নং-৪৩৫৯৯ ও ৪৩৪৮৯ এর যৌথ বরাদ্দ বাতিল করে অর্থাৎ ১.৫ কাঠায় পরিবর্তে একক ভাবে ৩ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দের লক্ষ্যে আদিবাসী জনাব মোঃ আলী আহমেদ এর আবেদনের বিষয়ে সদয় আলোচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য কর্তৃপক্ষের ০২/২০১৭তম ভোট সভায় উপস্থাপন করা হয়। ভোট সভার ৪২.১ আইটেমে যাচাই-বাচাই করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন প্রদান পূর্বক কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ভোট সভায় উপস্থাপনের জন্য পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) ও উপপরিচালক (অর্থ) এর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। উপরে উল্লেখিত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অদ্যবাদী হয় নাই। উপরন্ত ফাইলটি বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭-০৮-২০২২ চেয়ারম্যান মহাদয়ের বরাবর গণশুনানিতে অংশ গ্রহণের আবেদন করেন। এবং গণগুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উল্লেখিত ফাইল এর সব গুলো ফটোকপি সংযুক্ত করে উপ-পরিচালক জনাব হাবিবুর রহমান সাহেবের বরাবর আবেদন সহ পৌঁছানো হয়।.
আবেদনের দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এর কোন সমাধান দেখা যাচ্ছে না, উল্টো আরো খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় প্রকল্পে কোড নং-৪৩৫৯৯ ও ৪৩৪৮৯ এর ফাইল দুটির কোন হদিস নাই। অফিস কর্মকর্তারা এই ফাইলের কোন সমুচিত খোঁজ দিতে পারিনি। এমতাবস্থায়, ভুক্তভুগি আদিবাসী পরিবার মোঃ আলী আহম্মদ সবধরণের হয়রানী থেকে রেহাই চেয়ে তার আবেদনকৃত ৩ কাঠার প্লট বরাদ্দ প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানান। . .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: