কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সাগরতীরের বিশাল প্যারাবন উজাড় করে তৈরি হচ্ছে রিসোর্ট ও মাছের খামার। প্যারাবন পুড়িয়ে দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের চিহ্ন। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। কিংশুক ফার্মস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই রিসোর্ট ও মাছের খামার গড়ে তুলেছে। ঘটনার সত্যতা পেয়েছে কক্সবাজার বন আদালতের গঠিত তদন্ত কমিটি।.
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের প্যাঁচারদ্বীপ এলাকায় প্যারাবন ধ্বংস করে রিসোর্ট ও মাছের খামার তৈরি তৈরি করা হচ্ছে। গাছ কেটে ও আগুনে পুড়িয়ে উজার করা হচ্ছে। সেখানে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে যান চলাচলের রাস্তা। প্যারাবন দখল করে তৈরি হয়েছে ইটের সীমানা দেয়াল।.
দখল করা প্যারাবনে ‘কিংশুক ফার্মস লিমিটেড, নামে একটি কোম্পানির সাইনবোর্ডে দেখা গেছে। তবে সাইনবোর্ডে মালিকের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা কিংবা মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ নেই। সাইনবোর্ডের পাশেই তৈরি করা হয়েছে একটি টিনের ঘর। .
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কিংশুক কোম্পানিকে প্যারাবন দখলে সহযোগিতা করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য কামাল আহমদ, রশিদ আহাম্মেদ ও আমির হোসেনসহ কয়েকজন। এ বিষয়ে চুপ থাকতে স্থানীয়দের হুমকিও দেয়া হচ্ছে। .
এদিকে, কক্সবাজার বন আদালত প্যারাবন নিধনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের গঠিত তদন্ত কমিটি প্যারাবন ধ্বংসের সত্যতাও পেয়েছে। দখল হওয়া সরকারি জমিতে লাল পতাকাও টানিয়ে দেয়া হয়েছে।.
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহামিদা মোস্তফা জানান, সেখানে প্যারাবন নিধন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও পরিবেশের ব্যপক ক্ষতি করা হয়েছে। .
আগামী তেসরা মে এর মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / দিদারুল আলম জিসান:
আপনার মতামত লিখুন: