বানিয়াচঙ্গের প্রবেশদ্বার আমীর খানী ব্রিজের গোড়ায় মরন ফাঁদ-.
মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন-.
প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা- .
.
রিতেষ কুমার বৈষ্ণব- হনিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ২নং ইউনিয়নের অন্তর্গত আমীর খানী ব্রিজের গোড়ায় ভয়ানক মরন ফাঁদ তৈরী হয়েছে। ৫ ডিসেম্ভর ২০২২ ইংরেজি দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা সদরের প্রবেশদ্বারে উক্ত ব্রিজের উপর দিয়ে বানিয়াচং -আজমিরীগঞ্জ জলসূখা, নোয়াগড় সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন সিএনজি, টমটম, মিশুকে চড়ে এবং পায়ে হেটে প্রতিদিন আসা যাওয়া করতে হয় ব্রিজের উপর দিয়ে, এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি হাওর থেকে জমির ফসল এবং কয়েকটি মহল্লার গবাদি পশু নিয়ে প্রতিদিন আশা যাওয়া করতে হয় এই ব্রিজের উপর দিয়ে।.
ব্রিজের গোড়ায় ভয়ানক এই গর্তটির কারণে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই ব্রিজে উঠানামা করতে হচ্ছে সকলকে। ব্রিজের গোড়ায় ভয়ানক এই গর্তটির কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে কৃষক সহ কয়েক হাজার লোকজনকে। এলাকাবাসী ও পথচারীদের সাথে কথা বলে জানাযায় ৬ বছর আগে গড়ের খালের উপরে উক্ত ব্রিজটি নির্মাণ করার পরথেকেই উক্ত গর্তের সৃষ্টি হয়েছিলো, এর পর থেকে এপর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ গর্তটি ভরাট করার কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।.
গর্তটিতে পরে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বেশ কয়েকজন গাড়িচালকের সাথে কথা হলে তারা জানান- ব্রিজের গোড়ায় এসে ব্রিজে উঠা নামা করতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে স্থানটি অতিক্রম করতে হয়, নতুন চালকগন প্রায়সই গাড়ি নিয়ে গর্তে পরে যায়। .
এই স্থানটি যখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায় তখন শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে নিজেদের দায়িত্বেই মেরামত করতে হচ্ছে ৪- ৫ বছর যাবত। বৃষ্টির দিন আসার আগে জায়গাটি ভালো করে মেরামত না করা হলে যে কোন সময় বড় রকমের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।.
এ বিষয়ে বিগত ১১ মাস আগে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মিনারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেছিলেন এসকল কাজের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নেই, নির্মাণের ৩ বছর মেয়াদ কাল শেষ না হলে কিছুই করা সম্ভব নয়। উনি চেষ্ঠা করে দেখবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। .
ডে-নাইট-নিউজ / রিতেষ কুমার বৈষ্ণব-
আপনার মতামত লিখুন: