সংযমের মাস রমজান। এ মাসে যে যেখানে আছেন সবাই সংযমী হবেন, সেটাই প্রত্যাশা।কিন্তু রোজা এলেই এ দেশে প্রতি বছর পণ্যের দাম বেড়ে যায় । দাম কমার বদলে উল্টো বেড়ে যায়।.
রমজানের আগেই বাজারে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের নিত্যপন্যের দাম। মাছ থেকে শুরু করে মাংস,সবজি,মসলা খেজুরসহ সবকিছুর দাম শুনে ক্রেতাদের দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারী হয়ে এসেছে। নিম্ন আয়ের অনেকেই বলছেন "প্রয়োজনে পানি আর লবণ দিয়ে সেহরী খাবো"। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দাম। আর ক্রেতাদের অভিযোগ অতি মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্বনাথ উপজেলার প্রতিটি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা,ডালডা প্রতি কেজি ২০০-২১০টাকা,মোটা ডাল ১২০-১৩০ টাকা,চিকন ডাল ১৩৫-১৪০ টাকা,মুগ ডাল ১৪০- ১৫০ টাকা,প্রতি কেজি চিনি ১৬০-১৭০ টাকা,বোতল জাত তেল প্রতিলিটার ১৬০-১৮০ টাকা,প্যাকেটজাত পাম তেল ১৪০-১৫০ টাকা,মুড়িকাটা পেয়াজ ১১০-১২০ টাকা, এলসি ১২০-১৩০ টাকা,রসুন প্রতিকেজি২৮০-৩০০টাকা, আদা প্রতিকেজি ২২০-২৪০ টাকা, বিক্রি হতে দেখা গেছে।.
এদিকে সপ্তাহ দুয়েকে কিছুটা কমলেও রমজানের সাথে সাথে আবার বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম,সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে কোনো কেনো সবজি কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ৩৫-৪৯, টাকা,বেগুন ৭০-৮৯,করলা ১১০-১২০ শিম ৪০-৫০,টমেটো প্রতিকেজি ৬০-৭০ টাকা,শসা ৮০-৯০ টাকা,গাজর প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুরগীর দামও কিছুটা বাড়তি। বয়লার প্রতি কেজি ২৪০-২৫০ টাকা,লাল মুরগী প্রতি পিচ ৬৫০-৭০৯ টাকা,গরুর মাংস ৭৫০ -৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।.
বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে মুরগীর দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। মাছের বাজারও চড়া।বেশির ভাগ চাষের ও দেশী মাছের দাম বেড়েছে।.
ক্রেতা রমিজ আলী ও সোহেল আহমদ বলেন, রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের দামের যে অবস্থা তাতে মনে হয় দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিক্রেতারা। একাধিক ক্রেতার দাবী এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন।.
ডে-নাইট-নিউজ / বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: