বিশ্বনাথ পৌরবাসীকে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে গত ১/৮/২০২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়। যথাক্রমে বিশ্বনাথ পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিকভাবে বড় ১৩ টি ডাস্টবিন ও ছোট ১০০ টি ডাস্টবিন স্থাপন করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে ডাস্টবিন স্থাপন করলেও পৌরবাসীর ২-১জন ছাড়া ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে পাশেই স্তূপ করে রাখছেন বেশির ভাগ বাসিন্দা । তাদের ডাস্টবিন ব্যবহারে যেন অনীহা। কেন এই অনীহা এর সদুত্তর পাওয়া যায়নি।.
নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে প্রচারণা চালালেও কোনো কাজ হচ্ছে না।.
পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় ১৩ টি বড় ডাস্টবিন বসানো হলেও অনেকেই ডাস্টবিন ব্যবহার করছেন না। অনেকেই বাসীয়া নদীতেই ময়লা ফেলছেন পূর্বের ন্যায়। অনেকে ডাস্টবিনের পাশে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করে রেখে যাচ্ছেন। এতে করে পৌরসভার এই সৎ উদ্দেশ্যটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। .
পৌর শহরের নতুুন বাজার ও পুরাতন বাজার বাসিয়া ব্রিজের পাশে দুটি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। ডাস্টবিন ঘিরে মোবাইল সিম বিক্রেতারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। ছাতা টাঙ্গিয়ে ডাস্টবিন আড়াল করে রেখেছেন। ব্যস্থ বাসিয়া ব্রীজের উপর কে বা কার ইশারায় দিনের পর দিন এমন কারবার করছেন কারো জানা নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে ডাস্টবিনের পাশে একজন ময়লা স্তূপ করে রাখছেন। ডাস্টবিনে কেন ময়লা ফেলছেন না তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান ডাস্টবিনের পাশে বিভিন্ন সিম কোম্পানির সিমের মেলা বসিয়ে, বড় বড় ছাতা টাঙ্গিয়ে ডাস্টবিন আড়াল করে রেখে দিয়েছেন। সেইজন্য পথচারী ও ব্যবসায়ীদের ময়লা ফেলতে সমস্যা সৃষ্টি হয়।.
ডাস্টবিন বসানোর পরও বাসিয়া নদীতে হোটেল রেস্টুরেন্টের ময়লা আবর্জনা ফেলতে দেখা গেছে।.
ডাস্টবিন রেখে নদীতে কেন ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন জানতে চাইলে দ্রুত সটকে পড়েন হোটেলের এক কর্মচারী। এ ব্যাপারে খোকন মিয়া নামের এক পথচারী বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরে ডাস্টবিন বসিয়ে ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। প্রয়োজনে লিফলেট বিতরণ ও জরিমানা করতে হবে। আর জনগণকেও অলস না হয়ে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে সঠিক ভাবে ডাস্টবিনগুলো ব্যবহার করতে হবে।.
পৌরসভার এলাকার ব্যবসায়ী সুরঞ্জিত সেন জানিয়েছেন, ডাস্টবিনগুলো আরেকটু খোলা স্থানে বসালে ভালো হতো। লোকজনের চোখে পড়ত। ডাস্টবিনগুলো অনেকের চোখে না পড়ার কারণে অনেকেই এখনো ময়লা আবর্জনা বাইরে ফেলে রাখছেন। .
বিশ্বনাথ পৌর শহর এলাকার শরবত বিক্রেতা আনছার আলী বলেন, ডাস্টবিন বসানো খুবই ভালো কাজ। আমাদের আর যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে না। অন্যদেরও ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার জন্য উজ্জীবিত করছি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / মো. সায়েস্তা মিয়া :
আপনার মতামত লিখুন: