আমানউল্লাহ আনোয়ার কক্সবাজার : বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সমুদ্র নগরী পর্যটন জেলা কক্সবাজার শহরে ঢুকতে বাইবাস সড়কের সাথে লাগুয়া পাহাড়ের চাঁয়াঘেরা প্রান্তরে সুবিশাল আয়তনে ঘেরা দৃষ্টি নন্দন কক্সবাজার জেলা কারাগার। বর্তমান জেলা কারাগারে বসেছে অত্যাধুনিক ৪টি সুপেয় পানি, সে সাথে বদলে গেছে কক্সবাজার জেলা কারাগারের চিত্র- যেন এটি কারাগার নয় একটি দৃষ্টি নন্দিত কিংবা আকর্ষনীয় বিশাল বাগানবাড়িতে দৃশ্যমান। তাঁর পাশাপাশি দেশের কারাগার গুলোর কথা যখন উঠে তখন শুধু অভিযোগ আর অভিযোগই শোনা যায়। কয়েদীদের সাথে করা হয় অমানবিক আচরণ। শুধুই দুর্নীতি আর দুর্নীতির খবর। কারাগার গুলোর সেই চিরাচরিত দৃশ্যের মাঝে যেন কক্সবাজার জেলা কারাগার খুবই ব্যতিক্রম। এখানে তেমন কোন অভিযোগ নেই । যেন বদলে গেছে সবকিছু। বেড়েছে সেবার মান। তাতেই খুশি কারাবন্দিরা। কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলা সুপার মো.শাহ আলম খাঁন এর আন্তরিকতায় ও সুযোগ্য নেতৃত্বে এতিমধ্যে কারাগারের মান সারাদেশে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন সদ্য জামিনে কারামুক্ত বেশ কয়েকজন বন্দিরা। তারা হলেন, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের জাফর আলম বলেন, পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার বন্দীদের কে এত পরিমান ইফতারি দেয় একজনের খাবার তিন জনে খেতে সক্ষম হয়। একি কথা বলেন রামু উপজেলার মো. হাসান আলী। তাদের ভাষ্যে, কক্সবাজার কারাগার আর আগের সেই কারাগার নেই। বেড়েছে সেবার মান, বেড়েছে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও কারাবন্দিদের জন্য সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা।.
কারামুক্ত ওই বন্দিদের মতে, বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান এর যোগ্য নেতৃত্বেই কক্সবাজার জেলা কারাগার বাংলাদেশের অন্য কারাগারগুলোর তুলনায় মানে ও ব্যবস্থাপনায় অনেক এগিয়ে। রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ’ এই শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে কক্সবাজার জেলা কারাগারে ভেতরে বাইরে কর্মরত কারা রক্ষীরা একাগ্রচিত্তে কাজ করছেন বলেও মনে করেন তারা।একাধিক সুত্র মতে, ডেপুটি জেলার মো : আব্দুস সোবাহান জানান, কারাগারের স্বার্থরক্ষা করে বন্দি ও দর্শণার্থী সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সুত্রগুলো মতে, মোঃ শাহ আলম খান জেল সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিধিবিধান অনুসরণ করেই কারাগার পরিচালিত হচ্ছে। বিধিমোতাবেক প্রাপ্য সব সুবিধা বন্দিদের সমানভাবে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জেল সুপার শাহা আলম খানের নেতৃত্বে কারাগারে শান্তি-শৃংখলা সৃষ্টি, কারা মনিটরিং, অসুস্থ বন্দিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, কারা ক্যান্টিনে ন্যায্যমূল্যের ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক তদারকি, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, সহ পবিত্র রমজানুল মোবারক মাসে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করে আসচ্ছে। এবং ড্রেইন নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পৌঁছে দিতে কাজ করছেন কারাগারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন কারা রক্ষী বলেন, সততায় অবিচল থেকে মডেল কারাগারে রুপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন জেল সুপার মো. শাহ আলম খান। বর্তমানে কারাগারে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। এই চিকিৎসকরা প্রতিদিন কারাবন্দি অসুস্থ রোগীদের দেখেন এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। সেখান থেকে প্রকৃত অসুস্থ রোগীদের কারা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা মাত্র ৮৩০ জন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বন্দি রয়েছেন ৩ হাজার ১শত ২৭ জন। ধারণক্ষমতার প্রায় ৫ গুণ বেশি বন্দি নিয়ে বন্দিসেবায় নজির সৃষ্টি করা হয়েছে এই কারাগারে। সুত্র মতে, কারাগারে বন্দি মায়ের সাথে বিনা অপরাধে জেল কাটা শিশুদের প্রতিদিন দুইবেলা তরল দুধ দেয়া হচ্ছে। জেল সুপার মো. শাহা আলম খান বলেন, আমার দীর্ঘ চাকরি জীবনে যে খানে যায়, সব সময় সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমার আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: