লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী হারুনের খুনীদের বিচার ও হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্প্রতিবার সকালে জেলার সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীদের আয়োজনে নারী-পুরুষসহ সহস্রাধিক স্থানীয় জনসাধারন এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেন। নিহত হারুনের মা কোহিনুর বেগম, বাবা আবদুল মান্নান, বোন জোসনা বেগম, শান্তা আক্তার ও ভাই রিয়াজ হোসেন এতে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, হারুন একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সে রসুলগঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ছিল। স্ত্রী’র পরকীয়ার কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে। তার ভায়েরা জুয়েল, স্ত্রী বৈশাখী, শাশুড়ি খুকি বেগমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। হত্যার সাথে জড়িত দুজন গ্রেফতার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে এই খুনের মূল হোতা জুয়েল। আমরা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় বক্তাব্য রাখেন রসুলগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি তমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল মতিন, স¦পন পাটওয়ারী, সফি মহমুদ নিজু, হান্নান হোসেন বাবু, আব্দুল গোফরান, মোবারক চৌধুরী, মো. জহির উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, মোরশেদ আলম, মনির হোসেন প্রমুখ।.
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশীর মাইচ্ছাখালী এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায় তারা। অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী ও শাশুড়ি খুকি বেগমকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বোন জোসনা বেগম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হারুনুর রশিদের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী, শাশুড়ি খুকি বেগম ও ভায়রা জুয়েলসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: