• ঢাকা
  • রবিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

লবণ চাষ করে লাভবান ব্যবসায়ীরা, ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না লবণ শ্রমিকরা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৭ এএম;
লবণ চাষ করে লাভবান ব্যবসায়ীরা, ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না লবণ শ্রমিকরা
লবণ চাষ করে লাভবান ব্যবসায়ীরা, ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না লবণ শ্রমিকরা

লবন হচ্ছে মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।লবণের স্বাদ তথা নোনতাকে মৌলিক স্বাদের একটি বলে গণ্য করা হয়। লবণ হল প্রাচীনতম এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত মশলাগুলির মধ্যে একটি। লবণাক্তকরণ খাদ্য সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। প্রতিদিনের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয় লবন। লবণ এক ধরনের প্রাকৃতিক স্ফটিক যা খনিজ লবণ বা হ্যালাইট নামেও পরিচিত। মানুষ প্রতিদিনই লবন ব্যবহার করলেও কি জানে যে লবন কিভাবে তৈরি হয়?  সমুদ্রের পানিতে লবন থাকে এবং প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৩৫ গ্রাম কঠিন পদার্থ থাকে যেখানে থাকে ৩.৫% লবন।  সমুদ্রের পানি থেকে কিভাবে খাবার উপযোগী হয় এই লবন। .

বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে চট্টগ্রাম কক্সবাজারে সর্বোচ্চ উৎপন্ন হয় লবন। নবগঠিত ঈদগাও উপজেলার পোকখালী ও ইসলামপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে লবন শিল্প এলাকা।.

লবন চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সমুদ্রের লোনা পানি থেকে উৎপন্ন হচ্ছে লবন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে সল্ট বেড তথা লবন মাঠে। মাঠে লবন চাষিদের প্রথম কাজ সারি সারি সল্ট বেডের উপরিভাগে পানি দিয়ে সমতল করা, মাঠের উপরিভাগের পানি শুকিয়ে গেলে গরা চালিয়ে শক্ত ও মসৃণ করা। এভাবে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে সর্বশেষে লবন কুড়িয়ে এক গর্তে জমা করতে করতে সন্ধ্যা নামিয়ে আসে। এভাবে প্রতিদিন কাজ করে তারা। .

বড় বড় গর্তে লবন ভর্তি হলে  গাড়িতে বা বোটে করে নিয়ে যায় ইসলামপুর ফ্যাক্টরিতে। সেখানে গুদামজাত করণের পরে প্রক্রিয়াজাত করে আয়োডিন যুক্ত লবন খবার উপযোগী করে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।.

এসব কাজ করেন লবন চাষি সহ লবন পরিবহনের শ্রমিকরা। তার কাজ করে তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে কি? শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানাযায়, যতটুকু পরিশ্রম করে ততটুক মূল্য তারা পায় না, এমন কি শ্রমিকের ওজন ৩০ কেজি ও আছে তাদের ও ৭৫ কেজি ওজনের বস্তা কাঁধে নিতে হয়। তাছাড়া মাঠে যারা কাজ করেন তারাও  সারাদিন কষ্ট করে ন্যায্য মূল্য পায় না এমন কি রমজান মাসেও রোজা রেখে তাদের পরিশ্রম করতে হয় লবন ক্ষ্যাতে।.

 লভবান হচ্ছে লবন ব্যবসায়ীরা। গত বছরের তুলনায় এবছর লবনের দাম অনেক বেড়েছে। গত বছর যে লবণ বিক্রি করেছিল মন প্রতি ৭০০ টাকায় সে লবন এবছর বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ৯০০ টাকায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ লবনের চাহিদা ২২ লক্ষ মেট্রিক টন এবং সেই লবন কক্সবাজার থেকে তারা সরবরাহ করতে পারছে বলে জানান ইসলামপুর লবন মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম।. .

ডে-নাইট-নিউজ / কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ