মানুষের সেবায় সম্মান বাড়ে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পরম পথ হলো মানুষের সেবা করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে যে ভালবাসতে চায় সে যেন আগে মানুষকে ভালোবাসতে শেখে এটা স্রষ্টার আদেশ। মানুষ ও সমাজের সেবা করে কেউ দেউলিয়া হয় না এটা যারা বিশ্বাস করে তারা সমাজে সম্মানের পাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অমরত্ব লাভ করে। নিরহংকারী মনোভাবে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের আশায় যারা বিলীন হয় সমাজের তরে তাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নেতৃত্বের আসনে চালক হিসেবে তাদেরকে স্থান দেন সৃষ্টিকর্তা। .
বয়স, ধন-দৌলত আর ক্ষমতা লাগেনা সমাজের সেবা করতে। সমাজের সেবার জন্য প্রত্যেক মানুষের ইচ্ছাশক্তিই মুলধন ও পুঁজি হিসেবে ব্যবরূত করা যায়। পারস্পরিক মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ণয়ের ক্ষমতা যার আয়ত্তে আছে তাকে হারিয়ে দেবার কেউ থাকে না। যড়যন্ত্র একটি পুরনো কথা, যা আদ্যোপ্রান্ত সমাজে ব্যাধিকারে বিন্যাস্ত ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহিত কিন্তু এটির চেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার দয়া, দান, ভালোবাসা ও পরোপকার। এককথায় নিয়তের উপর নির্ভর করে আপনার গন্তব্য কোন শহরে, কোন সমান্তরালে, কোন চেয়ারে। প্রত্যেকটি সফলতার জন্য জীবনপণ সংগ্রাম ও ধৈর্যের কোন বিকল্প নেই। যারা এই গুণগুলো আয়ত্ত করতে পেরেছে তারা সফলকাম হওয়ার ইতিহাস নগণ্য নয় বরং ভুরি ভুরি এবং সমৃদ্ধ। .
ভুমিকা অতিমাত্রায় লম্বা করে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ও বিরক্তির কারণে ক্ষমা চেয়ে মূল বিষয়ে আলোকপাত করছি। মানব আর সমাজসেবা করা যার নেশা তাঁকে নিয়ে কথা বলছি। শিকড় থেকে শিখরে উঠা নিয়ে কথাগুলো সমালোচনাকারীদের হজম হবে না কিন্তু সত্য বলতে বা গিলতে যদি হীনমন্যতা বোধ করি তাহলে ছোট মানসিকতার পরিচয় বেরুবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সমাজ পরিবর্তনের জন্য যারা কাজ করেন তাদেরকে আমি সম্মানের আসনে না রেখে পারি না। যারা বৃহৎ পরিসরে কাজ করার চিন্তা চেতনা নিয়ে করার উৎস খোঁজে পাচ্ছেন না তাদেরকে বলব যে কোন ছোট্ট একটি বিষয় দিয়ে আপনি শুরু করুন, এগিয়ে যান। সময় কারো অপেক্ষা করেনা এবং মৃত্যু আসতে কাউকে বলে আসবেনা। তাই ভাবতে ভাবতে সময়ে অপচয় কাম্য নয়।.
ছোট্ট পরিসরে শুরু করে আজ নামটি স্থানীয় মানুষ সহ উপজেলা এবং জেলা ও দেশের অনেক স্থানের মানুষের নিকট পরিচিত হয়ে গেছে। বয়সে তারুণ্যের দৃপ্ততা, মনোবলে দৃঢ়তা এবং বিশ্বাসে অটলতা যাকে এক নামে চিনিয়ে দেয়। সময় ও সুযোগের চাইতে যিনি খোঁজে বেড়ান প্রতিকূলতা এবং সমস্যার সমাধান। আত্মঅহংকার চিলতে পরিমাণ যার মধ্যে দীর্ঘ সময়ে দেখা যায় না। দারিদ্র্যতা বিমোচন ও নিপিড়ীত মানুষের সমস্যা সমাধানের কাজ নিয়ে চিন্তা যার মনে প্রতিনিয়ত তাকে হারায় কে। ব্যাক্তিগত, দলীয়, সাংগঠনিক ও পারিবারিক ভাবে যার হাত মুক্ত হস্তে সবার আগে এগিয়ে যায় তাকে নিয়ে কিছু কথা বলা দোষের কিছু বলে মনে করিনা। যোগ্যতা ও কর্মের স্বীকৃতি সবার প্রাপ্য অধিকার। এ থেকে কাউকে বঞ্চিত করে কার্পণ্য করা আমার পক্ষে এমন হীনমন্যতা সম্ভব নয়। এলাকা বা পারিপার্শ্বিক সমাজের কেউ স্বীকার না করলেও আমি সত্যটাই বলে যাব। এ বলাটা বাড়িয়ে বা কোন প্রতিদানের লোভে নয়। অনেকেই তিনির সাথে আমার সম্পর্কের বিষয়টির প্রসংগ টেনে বাড়িয়ে বলছি বলতে পারেন, তা কিন্তু নয়। আমি প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে স্বাক্ষী হিসেবে যা দেখছি তাই বলতে কার্পণ্যতা থেকে বেরিয়ে এসেছি মাত্র। এ সমাজে যার অবদান রয়েছে দারিদ্র্যতা বিমোচনে, শিক্ষার উন্নয়ন, সামাজিক অবক্ষয় রোধ, সাংগঠনিক সম্প্রীতি, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখা, মিডিয়া ও ঐতিহ্য সুরক্ষায়। .
আত্মীক সম্পর্কের দায়িত্ববোধ থেকে যাকে নিয়ে লিখছি তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পশ্চিম পাহাড় পুর গ্রামের হাজী তেরা মিয়ার পুত্র, যুক্তরাজ্যের ডরসেটের স্থায়ী বাসিন্দা, ডরসেট আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সালেহ আহমেদ সাকিব কল্যাণ ট্রাস্ট ইউকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সাবেক সভাপতি, এশিয়ান এক্সপ্রেস টুয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সিলেটের সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সেলিম আহমেদ। .
প্রবাসে থেকে দিনরাত দেশের মানুষ ও সমাজের কল্যাণে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করছেন। পাহাড় পুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে সেলিম আহমেদ এর জন্ম। তিনি গ্রামের ফুলচন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক পড়ালেখার জীবন শেষ করেন এবং ঐতিহ্যবাহী উত্তর বিশ্বনাথ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পড়ালেখা শেষ করেন। যে উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে তাঁর পিতামহ (দাদা) শহর উল্লার বাড়িতে ( নিজ) প্রতিষ্ঠাকালীন ক্যাম্পাস হিসেবে প্রায় ২ বছর প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৭৪ সালে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়। এরপর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনে সিলেট সরকারি কলেজে পড়ালেখা করেন । এরপর তিনি উন্নত জীবন ও উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় তিনি একজন সফল হোটেল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সময় ব্যায় করছেন।
তিনি পারিবারিক ভাবে ৩ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। সমাজের দারিদ্র্যতা বিমোচনের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে তিনির বড় ছেলে সালেহ আহমেদ সাকিব এর নামানুসারে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত সালেহ আহমেদ সাকিব কল্যাণ ট্রাস ইউকে নামে একটি চ্যারিটি সংগঠন গঠন করেন। যে সংগঠনের বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি শাখা সংগঠন রয়েছে এবং সমাজ সেবায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। .
আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত স্লোগান নিয়ে সালেহ আহমেদ সাকিব কল্যাণ ট্রাস্ট ইউকের মাধ্যমে বিশ্বনাথ উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদান করে থাকে। ট্রাস্টের মাধ্যমে বাস্তবায়নকৃত উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে অভাবগ্রস্থদের গৃহ নির্মাণ, মসজিদ মাদ্রাসায় শিক্ষা উপকরণ ও নির্মাণ সামগ্রী প্রদান, ত্রান বিতরণ, অসহায় মেয়েদের বিবাহ সহায়তা, সেলাই মেশিন বিরতণ, গ্রামীণ অন্ধকার রাস্তায় সোলার প্যানেল (স্টিট লাইট) স্থাপন, প্রাথমিক মেধাবৃত্তি প্রদান, মসজিদ ও মক্তব ভিত্তিক ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিযোগিতায়মূলক পুরস্কার ও শিক্ষা সহায়তা দান, টিউবওয়েল বিতরণ, ঢেউটিন বিরতণ, স্যানিটেশন এবং রাস্তা নির্মাণ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সিংহভাগ অর্থ নিজের উপার্জন থেকে ব্যায় করে থাকেন সেলিম আহমেদ। প্রকাশের পাশাপাশি সংগঠন ও মানুষের দৃষ্টির আড়ালে ব্যাক্তিগত দানের হিসেবের অংকটাও অনেক বড়।.
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সহায়তার পরিমাণের চেয়ে বৃহৎ অংশ নিজের ইউনিয়নের মানুষ ও পাড়া প্রতিবেশীর মাঝে বিতরণ করেন। দারিদ্র্য আত্মীয় স্বজনরা ও তার কাছে খালি হাতে ফেরেন না। একটি পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মত একটি তহবিল এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে ব্যায় করা হয়। অনেক বড় উপাধি না দিলেও একজন আপাদমস্তক দানশীল ব্যক্তি হিসেবে তাকে গণ্য করা যায়। তবে তাঁর কোন চাওয়া বা পাওয়ার আবদার কারো কাছে আছে এমনটি আজও শুনা যায়নি। .
সমাজের সেবক হিসেবে মানুষ তাকে ভালোবেসে এলাকার উন্নয়নে নেতৃত্বের আসনে চালক হিসেবে দেখতে চান। এ দাবী উঠছে তৃণমূল থেকে। তিনি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক একজন নেতা হলেও সর্বদলীয় মানুষের সমর্থন তার পক্ষে রয়েছে এমনটি বলে বাস্তবতার চিত্র। এ চিত্রটি দেখা যায় তিনি যখনই স্বদেশে আসেন নাড়ীর টানে তখনই মানুষ তাকে ঘিরে সরব হয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও সভা সমাবেশ করতে। এ পর্যন্ত আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ার দাবী উঠছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। তবে সময় বলবে তিনি মানুষের গণদাবী গ্রহণ করবেন কি না। তিনি যদি এ দাবী গ্রহণ করে খাজাঞ্চির জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব নেন এবং পান তাহলে মানুষ একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক পাবে যার মাধ্যমে অত্র ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হবে বলা যায়। ( প্রথম পর্ব).
ডে-নাইট-নিউজ / মো. সায়েস্তা মিয়াঃ
আপনার মতামত লিখুন: