মোঃ ইউসুফ হোসাইন কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত কমলনগর উপজেলার মার্টিন ইউনিয়নের আবুল কাসেম (৩০) স্ত্রী-সন্তানদের সুখের কথা ভেবে ৫ মাস আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। স্বপ্ন ছিলো স্ত্রী-সন্তানের মুখে হাসি ফুটাবেন তিনি। কিন্তু নিয়তির করুণ পরিণতির কাছে ধরাশায়ী হয়ে তিনি ফিরে আসলেন স্বপ্নযাত্রা এ্যাম্বুলেন্সে করে কফিনবন্দি লাশ হয়ে প্রিয় স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের কাছে। শনিবার রাত ৯টায় তার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। .
.
নিহতের ভাই ইউসুফ জানান, আমার বড়ভাই আবুল কাশেম জমি বন্ধক রেখে ৫ লাখ টাকা খরচ করে গত বছর সৌদিতে যান। সেখানে একটি কৃষি খামারে কাজ করতেন তিনি। কর্মস্থলে যাওয়ার পর থেকে সেই দেশের মালিক তাকে অত্যাচার করতো। গত ২৬শে ডিসেম্বর সোমবার সকালে সৌদি পুলিশ তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান। .
তার আয়ে সংসার ভালো চললেও সন্তানদের জন্য তেমন কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারেননি। সংসারে তার স্ত্রী-সহ একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর পর তার পরিবারকে তেমন কোনো আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়নি। মানবিক কারণে বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন তিনি।.
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার স্ত্রী নারগিস আক্তার বলেন, তিনি আমাদের ভালো রাখতে গত বছর সৌদি আরব যান। যাওয়ার দুই মাস পরে আমাদের জানান সেখানে তিনি খুব কষ্টে আছেন। তিনি চলে আসার জন্য বারবার আমাদের জানান। বলেছিলেন বাকি জীবন দেশে এসে আমাদের সঙ্গে কাটাবেন। তিনি ঠিকই ফিরে এলেন, কিন্তু লাশ হয়ে। এখন আমার সন্তানদের কে দেখবে, কীভাবে আমি তাদের বড় করব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: