চুনারুঘাটের আমতলীতে স্ত্রী তালাক দেওয়ায় শ্বশুর বাড়িতেই ইউসুফ আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। সে ওই গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে। ইউসুফ আলীর ১ম স্ত্রী লাইজু আক্তার ২য় স্ত্রী আমিনা খাতুনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।.
সকালে ইউসুফ আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়, ইউসুফ আলী দুটি বিয়ে করেছেন।.
১ম স্ত্রীর ২টি সন্তান রয়েছে। সে পরে আমিনা খাতুনকে বিয়ে করায় ১ম স্ত্রী লাইজু আক্তার পিত্রালয়ে চলে যায়। এদিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে দু’সপ্তাহ পূর্বে আমিনা খাতুনও পিত্রালয়ে চলে যায়। এ অবস্থায় ইউসুফ আলী স্ত্রী আমিনাকে ফিরিয়ে আনতে প্রায়ই শ্বশুর বাড়ি যায়। গত মঙ্গলবার রাতেও ইউসুফ আলী স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুর বাড়ি যান। কিন্তু আমিনা তার সাথে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি নিয়ে আসার অনুমতি চাইলে ক্ষুব্ধ হয়ে আমিনা স্বামী ইউসুফকে তালাক দেয়। এতে ক্ষোভ আর অভিমানে ইউসুফ আলী গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ইউসুফকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।.
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার তালুকদার ও দেলোয়ার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। তবে ইউসুফের পরিবার জানিয়েছে, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।.
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল হক জানান, মরদেহের গলায় অর্ধাকৃতির কালো দাগ দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।.
এদিকে ইউসুফ আলীর ১ম স্ত্রী লাইজু আক্তার তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য আমিনা খাতুনকে দায়ী করে চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ ॥
আপনার মতামত লিখুন: