ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের অফিস সহায়ক হাসানুজ্জামান পলাশের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাতে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক ভাবে বলা হয়। হাসানুজ্জামান পলাশ শৈলকুপার ত্রীপুরাকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি শহরের উপ-শহরপাড়ায় বসবাস করতেন।.
তার পেস্টিং ছিল মহেশপুর ভুমি অফিসে। কিন্তু অফিস না করায় ৩/৪ মাস বেতন পান বলে জানা গেছে। পলাশের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন স্বপ্না জানান, রাতে মিলন নামে এক ছেলে তার স্বামীকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে জানানো হয় তার স্বামী কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।.
ফারজানা ইয়াসমিন স্বপ্না জানান, দ্রæত কালীগঞ্জ পৌছে দেখেন তার স্বামীর মাথার পেছন থেকে রক্ত ঝরছে। যশোর হামপাতাল থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে পলাশের মৃত্যু হয়। ফারজানা ইয়াসমিন স্বপ্না অভিযোগ করেন, তার স্বামীর সঙ্গে যারা ছিল তাদের আচরণ ছিল রহস্যজনক। তারা লাশের গাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। .
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হাসানুজ্জামান পলাশ শৈলকুপার ত্রীপুরাকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলামের সন্তান হলেও তাকে উপশহরপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াদ আলীর সন্তান পরিচয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরে চাকরী হয়। সরকারী চাকরী হলেও তিনি ঠিকমতো অফিস করতেন না। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়া পাবলিক হেলথ জামে মসজিদে জানাজা শেষে ঝিনাইদহ পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়।. .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: