ঝিনাইদহে জোরপুর্বক ধর্ষনে মা হতে চলেছে ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আমেরচারা ও শৈলকুপার মনোহরপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে। বর্তমানে দুই কিশোরী যথাক্রমে চার ও সাত মাসের অন্তঃসত্তা বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। .
এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানা ও শৈলকুপা থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বুধবার দুপুরে জানান, সাগান্না আমেরচারা গ্রামের ফজর আলী ওই স্কুল ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষন করেছে। এটা একটা গুরুতর অনৈতিক কাজ হয়েছে। মেয়টি সপ্তম শ্রেনীতে পড়ে বলে শুনেছি। সে এখন চার মাসের অন্ত:সত্তা। .
তিনি এ ঘটনার বিচার দাবী করেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ সোহেল রানা জানান, কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় মামলা নিয়েছি। ঘটনা পরিদর্শন করে সত্যতা মিলেছে। ধর্ষককে গেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে শৈলকুপার সোন্দাহ গ্রামে আরেক স্কুল ছাত্রী অন্ত:সত্তা হওয়ার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় একটি মামলা হয়েছে।.
মামলায় সোন্দাহ গ্রামের আজাহার মোল্যার ছেলে তাইজাল মোল্লাহকে (৬০) আসামি করা হয়েছে। শিশুটির পিতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার কিশোরী কন্যাকে একই গ্রামের তাইজাল বিশ্বাস বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত বছরের আগস্টের ৫ তারিখে তিনি ও তার স্ত্রী আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গেলে লম্পট তাইজাল বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।.
ভয়ে মেয়েটি না বললেও কিছুদিন পরে তার মা গর্ভধারণের ঘটনাটি টের পান। মেয়েটি তার মায়ের কাছে জানায়, তাইজাল তার সর্বনাশ করেছেন। তাইজাল মোল্যার স্ত্রী আলেয়া খাতুন জানান, অনেকদিন ধরেই তিনি এ ঘটনাটি শুনে আসছেন। তবে তার স্বামী এ ধরনের কাজ করে থাকলে তিনিও ঘটনার বিচার দাবী করেন। শৈলকুপার হিতামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, অন্তঃসত্তা কিশোরী গত বছর তার স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়।.
এ ঘটনা জানাজানি হলে সে লোকলজ্জার ভয়ে আর স্কুলে আসেনি। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সোন্দাহ গ্রামের একটি কিশোরীর অবৈধ গর্ভধারণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষক তাইজাল মোল্যাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: